ভ্যাট-শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে সরকার। শুরুতেই তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা। উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন সকল রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা। আর সাধারণ মানুষের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে ‘ভ্যাট-শুল্ক বৃদ্ধি’ বিরোধী তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ। অর্থনীতিবিদ ও বাজারবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার উচ্চ বিনিময় হার, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ সুদের হার ও বৈশ্বিক প্রভাব দেশের বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে এমন সরকারি সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে। বিশেষ করে লাগামহীন নিত্যপণ্যের মূল্যে পড়বে বিরূপ প্রভাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঋণ দিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটির বেশি। এই অর্থ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সঙ্গে যোগ হবে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নানাবিধ সংকটে রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি ভালো নয়। চলতি অর্থ বছরের ছয় মাসে বিশাল অংকের রাজস্ব ঘাটতি হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বাড়তি রাজস্ব আদায়ে ভ্যাট বাড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ।
ক্ষোভ সর্বত্র, বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি
ভ্যাট-শুল্ক বৃদ্ধিতে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগী শক্তি জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির অবস্থান তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায়ের খরচ বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার তার রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করের আওতা বাড়াবে, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে যে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে নেমে না যায় এবং তাদের ভোগান্তি যাতে না বাড়ে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিগত অবৈধ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে। এ অবস্থায় বিগত অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যেকোনো দেশের জন্য আইএমএফের ঋণ হলো ঋণপ্রাপ্তির সর্বশেষ আশ্রয়। এই কঠিন ঋণের শর্ত হিসেবে কয়েকটি ধাপে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এ অধ্যাদেশগুলো জারি করেছে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকারের কাছে প্রশ্ন-অবৈধ সরকারের ঋণের এই শর্ত বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনার জন্য আইএমএফকে আহ্বান জানিয়েছে কি? তা স্পষ্ট নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার একটি অবৈধ সরকারের চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে পারে না।
কর-ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে এবং কিছু পণ্যের কর অব্যাহতি তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, ওষুধ ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। এই সিদ্ধান্তটি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, চাপ বাড়াবে। সরকারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তারা চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির প্রথম ধাপের ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে এবং ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও শর্ত পূরণ করে আইএমএফের ঋণের জন্য এই ভ্যাট বাড়িয়েছে, কারণ বর্তমান রাজস্ব দিয়ে সরকার বাজেটের খরচ মেটাতে পারছে না। একইভাবে, কিছুদিন পূর্বে সরকার ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে কিছু লুণ্ঠিত ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট মোকাবিলায়।’
শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপ করা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ১২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়ে চলছে। জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরোপিত শুল্কের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ আরও এক দফা বাড়বে। কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সরকার বিষয়টির ওপর নজর রাখেনি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যেন বাড়তি চাপ তৈরি না হয়, সে জন্য অবিলম্বে শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম হায়দার বলেন, এখন বাজারের দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী, এ মুহূর্তে তারা (সরকার) কর আরোপ করল কেন? এটা একদমই অনুচিত। আইএমএফের সঙ্গে সরকার নেগোশিয়েট করতে না পেরে এখন আমাদের ঘাড়ে করের বোঝা চাপাচ্ছে।
সরকারের নতুন করে শতাধিক পণ্য ভ্যাট আরোপকে অবিবেচক কাজ উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘অবিবেচকভাবে ভ্যাট আরোপ করা হলো। সরকার প্রত্যক্ষ করকে বাদ দিয়ে পরোক্ষ করের দিকে গেছে। এটি খুবই দুঃখের বিষয়। আগামী বাজেটে হয়ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়বে কিন্তু কারা সেটি পাবে তা নির্ধারণ করা হলো না।’
মূল্যস্ফীতি ও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গত ১২ জানুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাব।
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক ও দেশীয় নানা পট পরিবর্তনের কারণে ২০২৪ সাল পুরো বছরজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সবশেষ ডিসেম্বরে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি এবং তার আগের মাসে ছিল ১৪ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ক্রমাগত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারও ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির চাপে জীবন জীবিকা নির্বাহে প্রায় দিশাহারা।
এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ চলমান থাকলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সরকার ইতোপূর্বে ২৯টি পণ্যের ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ভোক্তা পর্যায়ে তার কোনো প্রতিফলন আসেনি। এই শুল্ক প্রত্যাহারের পুরো সুবিধাটুকু বড় বড় করপোরেট গ্রুপ ও আমদানিকারকরা হাতিয়ে নেন। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের অন্য কোনো দপ্তর খবরও রাখেনি।
মূল্যস্ফীতি ক্রমাগতভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। প্রতি মাসে মানুষের ধার দেনা ও খাবারের তালিকা কাটছাঁট করে কোনো রকমে সংসার চালাতে হচ্ছে। যেহেতু আয় বা বেতন তো বাড়েনি, সে কারণে পরিবারের পুষ্টিসহ অনেক প্রয়োজন কাটছাঁট করতে পারলেও পরিবারের চিকিৎসা খরচ উপক্ষো করা যাচ্ছে না। আবার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে প্রতি মাসেই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ওষুধের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
আগামী মার্চে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষে এখন থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বিশেষ করে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, মাছ, মাংস, মসলা অনেক পণ্যেরই দাম বাড়ানো ও মজুত করা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। শীতের ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে চালের দাম। প্রকারভেদে চাল কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে মুঠোফোন-ইন্টারনেট, ওষুধ, এলপি গ্যাস, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, টমেটো সস, ফলের রস, সব ধরনের তাজা ফল, সাবান ও ডিটারজেন্ট, কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, মোবাইলসেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ম্যাট্রেস, ফেরো ম্যাঙ্গানিজ (রড তৈরির কাঁচামাল), বার্নিশসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সীমিত ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের এমনিতেই নিত্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি নিয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি, সেখানে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরেক দফা তাদের পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়িয়ে নতুন করে আবারো অস্থিরতা তৈরি করবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ (এফবিসিসিআই)।
গত ১৪ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ জানানো হয়। এ সময় সংগঠনটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়নের সভাপতিত্বে অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই গত ৯ জানুয়ারি শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের মূল্যও বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করে থাকেন। হঠাৎ কোনো আলোচনা ছাড়াই ভ্যাট বা শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে নীতি প্রয়োগের ধারাবাহিকতা থাকে না। ফলে উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হন। যার প্রভাব বিনিয়োগের উপর পড়ে। তাই হঠাৎ করে কর হারের পরিবর্তনের পথ থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। নীতিমালার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে দাবি করেছেন,‘কর বাড়লেও জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়বে না। আমাদের মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো-চাল, ডাল এগুলো। আমরা যেসব জিনিসের ওপর কর বাড়াচ্ছি, এগুলো মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর কোনো দেশেই, এমনকি নেপাল, ভুটানেও বাংলাদেশের মতো এত কম কর (ট্যাক্স) নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো কর-এ নিয়ে আসব।’
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য