-->
শিরোনাম

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না বন্ধ সিদ্ধান্ত কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না বন্ধ সিদ্ধান্ত কাল
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

আবারও বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রকোপ। নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশনা জারি করলেও এর ফলে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ইমপেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন শিক্সামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য আগামীকাল রবিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। টিকা নিয়ে যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে যারা ১২ বছরের কম বয়সী তাদের জন্য। সে বিষয়গুলো নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।' এসময় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘আমাদের ধারণা ছিল মার্চ-এপ্রিলে (করোনা) বাড়বে। কিন্তু জানুয়ারির গোড়ার দিকেই বাড়ছে, কাজেই আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে অ্যাডজাস্টমেন্ট কিছুটা দরকার হবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। টিকা নিয়ে যেন  শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'দেড় বছরে লেখাপড়ায় যে ঘাটতি হয়েছে, সেটি পূরণের জন্য রেমিডিয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু আমাদের অনেক সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। কারণ আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড় বছর শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি ক্লাস করতে পারেনি। শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠদান করানো যায়নি। অনলাইনে বা টেলিভিশনে করেছে, এতে যে ঘাটতি হয়েছে তাতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। কিন্তু যেভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছেন অনেকে, তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষার ক্ষতিটাই বেশি হবে, সেটাকে মাথায় রেখে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, আমরা প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। এটি সবাইকে মানতে হবে। আমি সবার কাছে আবেদন জানাব সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা অন্য যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান হোক আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।'

মন্তব্য

Beta version