-->

কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে থাই দূতাবাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে থাই দূতাবাস

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৫ অক্টোবর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে থাইল্যান্ডের দূতাবাস। উভয় দেশের মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে বেশকিছু কর্মসূচিও নিয়েছে থাই দূতাবাস।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় থাইল্যান্ডের দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থাইল্যান্ডের রাজা মাহাভাজিরালংক্রনের ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সফরের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং মহারাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে ও মহারানি সিরিকিতের ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফরের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে থাই দূতাবাস এ বছরের জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুইটি নিবন্ধ প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ঢাকায় নিযুক্ত থাই দূতাবাস ব্যাংককে রাজকীয় সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত তৎকালীন পরিদর্শনের স্থিরচিত্র প্রদর্শনের জন্য রাজার দরবার থেকে অনুমতি পাওয়ায় অত্যন্ত গর্বিত। উল্লেখিত নিবন্ধগুলো ও স্থিরচিত্রগুলো থাই ও বাংলাদেশি উভয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে।

ছোট গল্প ও গান সম্বলিত ‘৫০ গল্পে থাইল্যান্ড’ এবং ‘৫০ সুরে থাইল্যান্ড’ ধারাবাহিকটি রয়েল থাই দূতাবাস চলতি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করতে শুরু করবে। ‘৫০ গল্পে থাইল্যান্ড’ আসলে থাইল্যান্ডের জীবনধারা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, যা অনেকটা বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। যেমন- সুবর্ণভূমি ও সোনার বাংলা, টুকটুক ও বেবি ট্যাক্সি, ভাসমান নৌ বাজার, মাছ ও ভাতের গুরুত্বে সংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ ইত্যাদি। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ধারাবাহিকটি ইংরেজি-বাংলা উভয় ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

গান নিয়ে সাজানো ‘৫০ সুরে থাইল্যান্ড’ দিয়ে দর্শকেরা থাইল্যান্ডকে আরো গভীরভাবে বিনোদনের মাধ্যমে অনুভব করার সুযোগ পাবেন। এ ধারাবাহিকটি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের সুর এবং ১৯৩০ এর দশক থেকে আসা বিভিন্ন সঙ্গীত ঘরানার জনপ্রিয়তা অন্বেষণ করেছে, যা ‘বেবি বুমারর্স’দের থেকে সহস্রাব্দের উত্থান পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান সামাজিক বিকাশকে প্রতিফলিত করেছে। গানের কথা বা কোথাও কোথাও গানের বাহারি সুরের ব্যবহার করে ৫০ সুরে থাইল্যান্ড মূলত শিল্পায়নের সম্প্রসারণ, আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ বন্ধন, নারীর অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য সচেতনতাসহ নানা বিষয়ে থাইল্যান্ডকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।

স্রোতারা লুক ক্রং (শহুরে গান) এবং লুক থুং (পল্লী গান) মধ্যে পার্থক্যের পাশাপাশি থাই সমাজ যেভাবে নগরায়ন থেকে বিশ্বায়নের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে, সে সম্পর্কে জানবে। ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রতি শনিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে গানগুলো ইউটিউব লিংকসহ ধারাবাহিকটি ইংরেজিতে প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া বছর জুড়ে দূতাবাস থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংরক্ষণাগার থেকে থাইল্যান্ড কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং ১৯৭২ সালে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিভিন্ন নথি ও স্থিরচিত্র প্রকাশ করবে।

১৯৭২ এর ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর উভয় দেশ নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতির জন্য ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মধ্যে বিরাজমান দারুণ অভিজ্ঞতা এ ‘ফিরে দেখা ৫০ বছর’ শিরোনামের কর্মসূচির মাধ্যমে পুনারায় অনুভবের সুযোগ পাবে।

থাই পাঠকদের জন্য থাই ভাষায় ‘থাই পুদদি বেঙ্গলি পুদদাই’ (থাই বুলি ছটফটে, বাংলা বুলি অকপটে) শিরোনামে ৫০টি নিবন্ধ ভিন্ন মাত্রার আরও একটি নতুন ধারাবাহিক শুধু থাই ভাষায় প্রকাশিত হবে। এটি থাই ও বাংলা ভাষার মধ্যে আকর্ষণীয় সাদৃশ্য ও অদ্ভূত সংযোগের ওপর আলোকপাত করবে।

দুই ভাষার শব্দ ভাণ্ডারের কিছু শব্দের অর্থ ও ধ্বনি উভয় ভাষায় এক হলেও সেগুলোর অর্থ ভিন্ন। যেমন- ‘শিক্ষা ও বাণিজ্য’ থাই ও বাংলা ভাষায় একই অর্থবহন করে। এসব নিবন্ধগুলো আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য

Beta version