-->

ব্রাসেলসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ব্রাসেলসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশের মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ্ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশের মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ্ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহিদ সদস্যের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নিবেদিত ‘স্বাধীন বাংলায় ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশের মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ্ তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য ত্যাগের মহিমা অনুধাবনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলার মাটি ও গণমানুষের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি ‘জাতির পিতা’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’। দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর শান্তিপূর্ণ ও অহিংস নীতি ও দর্শনকে লালন করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস. বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ বদরুল আহসানের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সালেহ্ এর পৃথক দুটি ইংরেজি কথোপকথন দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হয়।

এসব আলোচনায় শশাঙ্ক এস. বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬২ সাল থেকে (ঢাকায় কর্মরত থাকাকালীন) বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় ও হৃদ্যতা এবং ১৯৭২ সালের ০৯-১০ জানুয়ারি লন্ডন-দিল্লি হয়ে ঢাকা পযর্ন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঐতিহাসিক বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি বর্ণনা করেন।

সৈয়দ বদরুল আহসান তার আলোচনায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহয়াওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী খোলা ট্রাকে ভ্রমণের ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণের আবেগময় উদযাপন বর্ণনা করেন।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের ফেসবুক পেইজেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মন্তব্য

Beta version