-->
শিরোনাম

বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে উন্মুখ অস্ট্রেলিয়া: স্কট মরিসন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে উন্মুখ অস্ট্রেলিয়া: স্কট মরিসন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন লিখেছেন, ‘এই বছর আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং কোভিড-১৯ মহামারীর অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ থেকে পুনরুদ্ধারে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাটি নিজেদের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করেছে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশন।

স্কট মরিসন বলেন, ‘দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আনন্দিত। এটা এমন এক সময়, যখন আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি।’

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দিকের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্বও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাথমিক স্বীকৃতির মধ্যে দিয়ে শুরু, যা পরবর্তীতে ঢাকায় আমাদের মিশনের সূচনা পর্যন্ত প্রসারিত।

‘অর্ধ শতাব্দী পেরিয়েও আমাদের জনগণ উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে চলেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংযোগ এবং আমাদের উভয় দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নির্মিত।’

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা, শান্তি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো প্যাসিফিক গড়তে প্রস্তুত। দুই দেশ বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগামীতে কাজ করবে বলেও প্রত্যাশা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করবে। উভয় দেশে ব্যবসার সুযোগ তৈরির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণেরও খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা আছে। একটি আবেগ যা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্রিকেট মাঠে নিয়ে যায়।

‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সামনের বছরগুলোয় আরো বিকশিত হতে দেখব। কারণ বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের অবস্থানকে জানান দিচ্ছে। আমরা এই বছরের শেষের দিকে পুরুষদের আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছি।’

মন্তব্য

Beta version