-->
শিরোনাম

এইচএসসি-সমমানের ফল ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচএসসি-সমমানের ফল ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
পরীক্ষার্থী

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। তবে প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। দু-তিনদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। এখন শুধু ফল প্রকাশে আনুষ্ঠানিকতার বাকি।সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বড় এ পাবলিক পরীক্ষার ফল আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিন তা প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, ফল প্রকাশের দিন শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন। এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির পর যেকোনোদিন ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেদিন বলবে, সেদিন তা সম্ভব হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ফল প্রকাশের জন্য আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখানে ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন, সেদিন তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি ছিল ৩৩ হাজার ৯০১ জন। গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি ছিল না।

মন্তব্য

Beta version