বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি উল্টো করে মোবাইলে ধারণ ও পত্রিকায় প্রকাশ করার অভিযোগে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের নার্সসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্তে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার কক্ষে অভিযুক্তদের লিখিত বক্তব্য ও সাক্ষ্য নেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মামলার সরেজমিন তদন্তের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোসা. শাহানারা খাতুন, সেবা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইসমত আরা পারভিন, ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের নার্সিং ইনস্টাক্টর মো. আবদুল লতিফ, একই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার নাজমা পারভীন এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্টাফ নার্স কামাল হোসেন পাটওয়ারী। এখানে মামলা দায়ের করার সময় তারা যে পদে ছিলেন সেই পদ-পদবি ব্যবহার করা হয়েছে।
অভিযোগের তদন্ত শেষে ২০২১ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্তদের লিখিত বক্তব্য ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ক্লিনিক ভবনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার কক্ষে অভিযুক্তদের লিখিত বক্তব্য এবং সাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলার সরেজমিন তদন্তে এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এদিন বিকাল তিনটায় শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পরে সময় বদল করে সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের লিখিত বক্তব্য ও সাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু হয়। সেখানে ছয়জন অভিযুক্ত ও দশজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। তদন্তের ফল পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
২০১৯ সালে পৃথক ছয়টি অভিযোগনামায় ছয়জনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের তদানীন্তন মহাপরিচালক আলম আরা বেগম। তার স্বাক্ষরিত অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর অভিযুক্তরা অধিদফতরে আসেন এবং একটি সভায় মিলিত হন। সভা শেষে অধিদফতরের উপ-পরিচালকের (শিক্ষা) কক্ষে প্রবেশ করে জাতির পিতার বাণী সম্বলিত একটি পোর্টেট উল্টো করে মোবাইলে ধারণ করেন। পরে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায় এই ছবি প্রকাশ করেন। যা পরবর্তীকালে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপের মধ্যেমে অধিদফতরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমন কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচরণের আওতাভুক্ত অপরাধ বলে অভিযোগনামায় বলা হয়েছে।
মন্তব্য