-->
শিরোনাম

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: জলদি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: জলদি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সাগর-রুনি (ছবি: সংগৃহীত)

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা অব্যাহত আছে। এটা আমার নির্বাচনী এলাকাতেই হয়েছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমিও দৌড়ে গিয়েছিলাম। আমিও মনে করি, যথেষ্ট দেরি হয়েছে। আমি চেষ্টা করব যাতে খুব জলদি ব্যবস্থা নিতে পারি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য আদালত র‌্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। র‌্যাব এটা নিয়ে কাজ করছে; আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে। আশা করি, খুব শিগগিরই ঘটনাটা কী ঘটেছিল, কে কে দায়ী ছিল, এগুলো আমরা বের করতে পারব। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সড়কে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আমাদের দেশে চাদর-বালিশ যথেষ্ট হচ্ছে, আমরা বিদেশেও রপ্তানি করছি। বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের মান যাচাই করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের জার্মানি সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বলেন, তিনি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) রিজয়েন্ডার দিয়েছেন, এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের দেশে চাদর-বালিশ যথেষ্ট হচ্ছে, আমরা বিদেশেও রপ্তানি করছি। তিনি কী ধরনের ইমপোর্ট করেছেন বিস্তারিত জানেন। তিনি যাচ্ছেন কিনা, এটা আমার জানা নেই। তিনি ভালো বলতে পারবেন কবে যাবেন, কীভাবে যাবেন।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, অনেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। অনেকে ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে, মামলা এড়াতে বা সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন। জেনেভায় আমাদের যে নামগুলো দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনেকের নামেই ১২ থেকে ১৩টি মামলা ছিল কিংবা জেলে আছেন বা জামিনেও বের হয়েছেন-এমনও হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আবারও বলছি, গুমের কথা যেগুলো বলা হচ্ছে, খুঁজলে অনেককেই আমরা উদ্ধার করতে পারছি বা পারবো। পুলিশের প্রতিবেদন লক্ষ্য রাখবেন, প্রতিবছর যদি মিসিং এরকম এক হাজার হয়, দেখা যায় ৯৫০ জন আবার শনাক্ত করা যাবে। যে তালিকা দিয়েছে, আমরা মনে করি, অনেককেই পাওয়া যাবে। আমরা কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা তদন্তের বিষয়। এটা কীভাবে রেকর্ড হলো, সেটা দেখার বিষয় আছে। নিশ্চিত না হয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারিভাবে এরকম রেকর্ড করার কোনো সিস্টেম নেই। এটা যদি করে থাকে তাহলে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বা অন্য কোনো প্রযুক্তি বের হয়েছে কিনা দেখার বিষয় আছে। এমটিএমসি একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে লফুল ইন্টারসেপশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া মনিটর বা প্রকাশ করতে পারে না। কাজেই বিষয়টি অনুসন্ধানের পর্যায়ে আছে।

মন্তব্য

Beta version