আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ‘মালয়েশিয়া টুডে’তে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফ্রি মালয়েশিয়া টু ডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার আদালত। এতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এক আদেশে এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নিজ দপ্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে প্রয়োজনে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘খায়রুজ্জামান সবল ও সামর্থ্যবান একজন ব্যক্তি। কাজেই তিনি শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নন। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক রয়েছে, এর মাধ্যমেই আমরা তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো বলে আশাবাদী।’
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর অধীনে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত শরণার্থী হিসেবে তার কার্ডের মেয়াদ রয়েছে। কোনো শরণার্থী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে না ফেরলে জোর করে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই।
জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া খায়রুজ্জামানকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে দেশে তলব করলেও তিনি ফেরেননি। অভিবাসী আইন ভঙ্গের ফলে সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করেছিল মালয়েশিয়ার পুলিশ। এর পরই তাকে ফেরাতে উদ্যোগী হয় বাংলাদেশ। আদালতের সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় আটকে গেলো ফেরানোর প্রক্রিয়া।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এ এস ঢালিওয়াল ফ্রি মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেন, খায়রুজ্জামানের বৈধ ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না, বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তিনি রাজনৈতিক শরণার্থী। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।
ইউএনএইচসিআর মালয়েশিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সনদ অনুমোদন করুক বা না করুক, শরণার্থীদের জীবন বা স্বাধীনতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন কোনো দেশে জোর করে ফেরত না পাঠানো প্রতিটি দেশের দায়িত্ব।
খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি ফ্রি মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র খায়রুজ্জামানের গ্রিন কার্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু মালয়েশিয়ার পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ায় গ্রিন কার্ড পাচ্ছেন না।
মন্তব্য