র‌্যাব ইস্যুতে জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
র‌্যাব ইস্যুতে জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক হয় শনিবার। ছবি- ভোরের আকাশ

র‌্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার (১৯ জানুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার জার্মানির মিউনিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে তারা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যাতে দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অতিরিক্ত চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

ড. মোমেন নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাশ্রয়ী প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিকে সহায়তা করার জন্য জি-৭ এর প্রতিও আহ্বান জানান। এ সময় জন কেরি যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষাধীন পারমাণবিক মডুলার প্ল্যান্টের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সৌরশক্তিচালিত সরঞ্জাম পরিচালনায় দক্ষতার বিকাশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতাসহ বেড়িবাঁধ উচ্চতা ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পে আগ্রহ দেখান জন কেরি। তিনি এ জন্য প্রাথমিক সমীক্ষা পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস দেন।

ড. মোমেন জরুরি বিষয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের জন্য জন কেরির প্রশংসা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ এই দূত বৈঠকে অন্যান্য সেক্টরের মধ্যে কঠিন বর্জ্য থেকে নির্গমন কমাতে সহায়তার সুবিধা লাভের উপায় হিসেবে ‘গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারে’ যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।

মন্তব্য