-->
শিরোনাম

রবীন্দ্র সরোবরের পাশেই নজরুল সরোবর

নাজমুল হাসান রাজ
রবীন্দ্র সরোবরের পাশেই নজরুল সরোবর
ধানমন্ডি লেকে তৈরি হচ্ছে নজরুল সরোবর। ছবি- ভোরের আকাশ

একজন বিশ্বকবি। আরেকজন জাতীয় কবি। বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনের দুই গর্ব। বলা হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। এই দুজনকে পাশাপাশি রেখে ঢাকাবাসীর কাছে তুলে ধরতে এক মহতি উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

রাজধানী ঢাকাবাসীর বিনোদনের নতুন মাত্রা যুক্ত করতে ধানমন্ডিতে খুব শিগগিরই রবীন্দ্র সরোবরের পাশেই তৈরি হচ্ছে নজরুল সরোবর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চলমান প্রকল্পে নতুন চেহারার রূপ নিচ্ছে ধানমন্ডি লেক। বিশ্বের উন্নত দেশের শহরগুলোর আদলে আধুনিক ঢাকা শহরকে নতুন রূপে সাজাতে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উন্নয়নে অত্যাধুনিক রূপে সাজাতেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প।

প্রকৃতিঘেরা দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডি লেক নতুন করে সাজানোতে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। পাশাপাশি লেকে হাঁটা মানুষগুলোর মনেও। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন, রবীন্দ্র সরোবর সংস্কারের পাশাপাশি নজরুল সরোবর হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিনোদনকেন্দ্র।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নজরুল সরোবর তৈরিতে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে হচ্ছে ফুটপাত, ফোয়ারা, একাধিক গাড়ি পার্কিং, পাশাপাশি রাতে জ্বলবে স্মার্টলাইটও। ধানমন্ডি লেকটিকে নজরুল সরোবর হিসেবে আধুনিক এবং সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে নজরুলপ্রেমীরা এই জায়গাটায় বসতে পারবেন, একটু চর্চা করতে পারবেন এবং লেকের সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটবে বলে বলে জানা যায়।

লেক পাড়ে হাঁটা মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এই লেকটিতে হাঁটাচলা করি তবে এবার যে চেহারা হয়েছে তাতে মন ভরে যাবে বলে আশা করছি।’

নজরুলপ্রেমী আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমরা নজরুলপ্রেমীদের মধ্যে একটা প্রাণের সঞ্চার ফিরবে বলে মনে করছি। নজরুল গবেষণায় আরো নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নজরুল গবেষক ও পর্যটকরা এখানে এসে আনন্দ পাবে বলে আশা করি।’

তিনি আরো বলেন, নজরুল সরোবরের কাজের সমাপ্তিতে আনন্দ ফিরে আসবে কোটি নজরুল ভক্তদের মনে।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মাদ বলেন, ‘আমরা নজরুল সরোবর করার উদ্যোগ নিয়েছি। দৃষ্টিনন্দন এবং পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে ধানমন্ডি লেক। লেকের অপর পাড়ে আরেটু সুন্দর পরিসরে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে, ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরবাসীর কাছে আরো উপভোগ্য হবে ধানমন্ডি লেক। এছাড়াও তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে এই জায়গাটি শুধু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নয় ঢাকাবাসীর জন্য অন্যতম সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে এটি পরিগণিত হবে।

মন্তব্য

Beta version