-->
শিরোনাম

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি: তৃতীয় দিনে রেলওয়ে গেইট কিপারদের অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি: তৃতীয় দিনে রেলওয়ে গেইট কিপারদের অনশন
কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনরত গেইট কিপাররা

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনেও রেলওয়ে গেইট কিপারদের অনশন কর্মসূচি অব্যাহত আছে। অনশনরতরা জানায়, মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ১৮৮৯ জন গেইট কিপারের চাকরি

রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১লা মার্চ) রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের উদ্যোগে কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে টানা তৃতীয় দিনের মতো অনশন অব্যহত রেখেছে তারা ।

কর্মসূচিতে গেইট কিপাররা জানান, গত তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে গেইট কিপাররা অনশন চালিয়ে আসলেও এখনো পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে দাবি

মেনে নেয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসেনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেইট কিপাররা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গেইট কিপাররা বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের মান উন্নয়ন

শীর্ষক প্রকল্প নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নং-৪৭০ ই/গেইট কিপার নিয়োগ/প্রকল্প/সিই পূর্ব-২০১৬ (ডব্লিউ) তারিখ-৩১/১০/২০১৬ইং, বিজ্ঞপ্তি ৬০১/৫ (নিয়োগ) প্রকল্প সিই/পশ্চিম ২০১৬ (ডব্লিউ)

তারিখ- ১৫/১০/২০১৬ইং মোতাবেক ১৮৮৯ জন গেইট কিপার অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিয়োজিত আছি। এর মধ্যে ৫৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৫৫৫ জন রেলপোষ্য এবং ৩২৫ জন

নারী গেইট কিপার রয়েছেন। ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পে কর্মরত গেইট কিপারদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ীকরণে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে

জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দৃশমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি,

আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি। তারা বলেন, নিয়োগের সময় গেইট কিপারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে ১৪,৪৫০/ টাকা। বিগত ৫

বছরে এ বেতন বাড়েনি। বেশির ভাগ গেইটকিপার তাদের নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বাসা ভাড়া, পরিবারের ভরণপোষণ, ছেলেমেয়েদের

লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।

অপরদিকে প্রায় সকলের বয়স ৩২ বছর অতিক্রম করায় অন্য চাকরিতেও ঢোকার সুযোগ নেই। নং-মপবি/ক:বি:শা:/কপগ-১১/২০০১-১১, তারিখ-০৩/০৫/২০০৩ ও নং-মপবি/ক:বি:শা:/

মক-০১/২০০৩-২৮,তারিখ-২২/০১/২০০৩ প্রজ্ঞাপন মূল্যে অস্থায়ীভাবে সৃজনকৃত পদ হইতে রাজস্ব খাতে প্রেরণ করা সম্ভব।

অনশনরতরা বলেন, ‘আমাদের চাকরির মেয়াদ প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমাদের

আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে। এতে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। দীর্ঘ সময় অনশনের ফলে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জন গেইট কিপার গুরুতর

অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে কুলাউড়া সেকশনের রায়হান, টঙ্গির লাকী আক্তার ও ফেনীর হালিমা খাতুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং যশোর সেকশনের চামেলি বেগম,

শ্রীমঙ্গলের আকুল মন্ডল, জামালপুরের কাকলি বেগম ও শ্রীমঙ্গলের কাউছার আহম্মেদ অনিক মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিদের অনশন স্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

মন্তব্য

Beta version