-->
শিরোনাম

শাহবাগে আগ্রাসন ও যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি
শাহবাগে আগ্রাসন ও যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ

ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মানুষকে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশপন্থী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আগ্রাসন, যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ করেছে বাম সংগঠন ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’।

শুক্রবার (৪ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ করে তারা। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ বিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বদেশী গণতান্ত্রিক

আন্দোলনের নেতা ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী এবং সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, জাতীয় সংস্কার জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, শিক্ষাবিদ মাহবুব

হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য মনিরুদ্দীন, একটিভিস্ট ওয়ালিদ আশরাফ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, “যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনে, আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়েছে। তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ কী। আমাদের যদি দুইমাস খাদ্য-দ্রব্যের মজুদ রেখে দাম স্থিতিশীল রাখতে না পারে তাহলে এদের

থাকার কোনো যোগ্যতাই নেই। বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ আমেরিকার পক্ষ নিচ্ছে, কেউ রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে। আমাদের আহ্বান থাকবে আমরা যেন বিভক্ত না হয়ে একতাবদ্ধ থাকি যেন আমাদের দেশের এমন পরিস্থিতি না হয়।”

এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন বলেন, “আজকে এই যে আগ্রাসন চলছে, রাশিয়া ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছে। আমরা যদি পূর্বের ইতিহাস দেখি, আমেরিকা ছুঁতো ধরে লিবিয়া, ইরাক,

আফগানিস্তানকে তছনছ করে দিল। এভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেদের স্বার্থে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর ওপর হামলে পড়েছে। ইউক্রেনে বাংলাদেশের একজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা কষ্ট পাচ্ছি অথচ সরকার আমাদের রুদ্ধ

করে রাখে। আমরা যেন প্রতিবাদ করতে না পারি তারা আইন দিয়ে আমাদের কন্ঠরোধ করে রাখে। আজকে আমরা এখান থেকে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশপন্থী, আমাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এমন গতি তৈরি করব। আমাদের রুদ্ধ করার বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াব।”

শিক্ষাবিদ মাহবুব ইসলাম খান, আমেরিকা মিডিয়া, রাষ্ট্রপ্রধানকে কবজা করে যুদ্ধকে বৈধতা দেয়। আমেরিকার যেহেতু কোনো ঐতিহ্য নাই তাই সবার সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইরাকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। আজ

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলাও একই স্বার্থে। রাশিয়ার জনগণও মিছিল করে জানিয়ে দিয়েছে তারা যুদ্ধ চায় না।

মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, “আমরা একাত্তর সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছি। আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। মানবিক রাষ্ট্রের একটি অঙ্গীকার নিয়ে সাম্য,

মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচারের জন্য লড়েছি। এটি আমাদের সংবিধানেও ছিল। সংবিধানে আরেকটি অঙ্গিকার ছিল পৃথিবীর যে কোনো জাতির স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে।

কিন্তু ইউক্রেনের জন্য জাতিসংঘে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এতে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।”

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার আন্দোলনের প্রধান জাতীয় সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এ সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটদানে বিরত থেকেছে। এই আগ্রাসনের

বিরুদ্ধে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে চাই। আজকে যুদ্ধ একটা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে৷ অস্ত্র ব্যবসা যাদের মূল ব্যবসা। তারাই এ যুদ্ধ টিকিয়ে রাখে। আজকে বাংলাদেশের সরকার বাংলাদেশপন্থী নয়।

আমি বলব এ দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করতে শিখুন।

 

মন্তব্য

Beta version