ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনকে দিলে নম্বরপ্লেটের ভিত্তিতে রাস্তায় গাড়ি নামানো হবে। নম্বরপ্লেটে যাদের জোড় সংখ্যা রয়েছে, তারা জোড় তারিখের দিন গাড়ি চালাতে পারবেন। পরের দিন চলবে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি। জোড় তারিখে জোড় গাড়ি ও বেজোড় তারিখে বেজোড় গাড়ি চলবে।
শনিবার (১৯ মার্চ) উত্তরা সেক্টর-৭ এ বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান প্রমুখ।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য সুস্থ, সুন্দর বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। উত্তরার শিশু-কিশোরদের মুক্ত চলাচল, আড্ডা, গল্প, গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এ মুক্তমঞ্চের প্রয়োজন অনুধাবন করেই ডিএনসিসি এটি নির্মাণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতির বিকাশের জন্য এ এলাকায় শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন।
এসময় রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজটের প্রসঙ্গ আসায় তিনি বলেন, রাজধানীর কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোন কোন রাস্তায় বেশি যানজট হয় এসব বিষয়ে গবেষণা করে কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে ভাবেন, দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চটি নির্মাণের জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চটি উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি চাই মুক্তমঞ্চটি ভবিষ্যতে আরো প্রসারিত হবে।
প্রসঙ্গত: জোড়-বিজোড় গাড়ি চলাচলের প্র্রস্তাবটি প্রথম দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। ঢাকার রাস্তায় জোড় তারিখে জোড় ও বেজোড় তারিখে বেজোড় গাড়ি চলাচলের কথা প্রথম তিনিই গুলশানের একটি ক্লাবে ব্যবসায়ীদের সামনে প্রস্তাব করেছিলেন। তবে সে প্রস্তাবে ব্যবসায়ীরা তেমন আগ্রহ দেখাননি। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আতিকুল ইসলাম প্রয়াত মেয়রের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির মধ্যে সড়কে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের কথাও ছিল।
মন্তব্য