তরুণ জনগোষ্ঠিকে দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত প্রযুক্তিবিদদের দক্ষতা উন্নয়নে নেটওয়ার্ক তৈরিতে নেওয়া কার্যক্রম নেতৃত্ব বিকাশে উৎসাহিত করবে বলে মনে করে সিটিও ফোরাম।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে সিটিও ফোরাম আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ফোরামের বক্তারা।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্সের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সৈয়দ আক্তার হোসেন, এটুআই-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আরফে এলাহি মানিক, ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, ‘ফোরামের যাত্রা শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের একমাত্র লক্ষই ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের মানবসম্পদের যথাযথ উন্নয়ন। আমরা বিশ্বাস করি দক্ষতা অর্জন এবং তার প্রয়োগের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম।
আমরা যদি দেশের মানবসম্পদকে আন্তজার্তিকভাবে সুদক্ষ করতে পারি তবেই সাইবার জগতে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কমবে পরনির্ভরশীলতা। আমরা একাডেমির সঙ্গে আরো কাজ করার উৎসাহ বোধ করব।
ডা. সৈয়দ আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহস্রাধিক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বের হচ্ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ইন্ডাষ্ট্রির চাহিদা অনুযায়ি প্রস্তুতি না থাকায় চাকরির বাজারে তারা যথাযথ দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়।
সিটিও ফোরাম ইন্ডাষ্ট্রিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ছাত্র/ছাত্রিদের জন্য ইনোভেশন হ্যাকাথনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে যেমন ধারণা দিতে সক্ষম হচ্ছে তেমন শিক্ষার্থীদের মেধা ঘাটতির সমাধান ও দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তাদের আন্তবিকাশের উন্নয়ন ঘটছে।
দক্ষ জনশক্তির উন্নয়নে সিটিও ফোরামের প্রসংশা করে ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আরফে এলাহি বলেন, এটুআইয়ের কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা নিয়েই সিটিও ফোরাম তাদের ইনোভেশন হ্যাকাথনের আয়োজন করে। আমরা অত্যন্ত খুশি যে আমাদের তরুণরা তাদের সমস্যা সমাধানে সক্ষমতা অর্জন করছে।
যদি আমরা তরুণদের তৈরি করতে পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার যোগ্য কর্ণধার পাওয়া কষ্টকর হবে না।
মন্তব্য