-->
ঈদ বাজার

ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় কাটছে বিক্রয় কর্মীদের

জুনায়েদ হোসাইন
ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময়
কাটছে বিক্রয় কর্মীদের

রোজা শুরু হলেও ঈদের বাকি এখনো অনেক দিন। এর মধ্যে দোকানিরা গ্রাহক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ঈদসামগ্রী দিয়ে দোকান সাজাতে শুরু করেছেন। পর্যাপ্ত মালামাল প্রদর্শনী করে ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানাচ্ছেন, রোজার শুরুর দিকে বেচা-বিক্রি কম থাকে। মাঝামাঝি ও ঈদ ঘনিয়ে আসলে মার্কেটে কেনা-কাটা জমে উঠবে।

শুক্রবার রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতান বা শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতা সমাগম বেশি থাকলেও বিক্রি হচ্ছে কম।

অনেকে দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি জমে উঠেছে। অভিভাবকরা নিজের জন্য না কিনে বাচ্চাদের পোশাক কিনছেন বলে জানিয়েছেন।

তবে এই সময়ে নিম্নধ্যবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত- মৌচাক ও নিউমার্কে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ছুটির দিনে এসব এলাকায় যানজট ব্যাপক হারে বাড়ছে।

এদিকে বেসরকারি খাতে এখনো বেতন ও বৈশাখী ভাতা পাননি কর্মজীবীরা। ফলে সার্বিক কেনাকাটা এখনো জমে উঠেনি বলে জানা গেছে।

তবে সরকারি কর্মচারীরা ইতোমধ্যে বেতন ও ভাতা পেয়ে গেছেন। এছাড়া অধিকাংশ করপোরেট অফিসে মাসিক বেতন হলেও ভাতা পাননি কর্মচারীরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, করোনা মহামারির পর এ বছরই স্বাভাবিকভাবে মার্কেটের কার্যক্রম চললেও আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না। অনেকে হাতাশ সময় কাটাচ্ছেন। মোবাইল, ফেসবুক আর ইউটিউবে সময় কাটাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা।

রাজধানীর টুইন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের বিক্রয়কর্মী আতাউর ভোরের আকাশকে বলেন, গেল দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা খারাপ গেলেও এ বছর ভালো বিক্রির আশা করছি।

ঋণ করে হলেও ব্যবসায়ীরা দোকানে পণ্য তুলেছেন। কিন্তু রমজানের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে চললেও এখনো বিক্রি শুরু হয়নি।

ঈদের বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ভোরের আকশকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে গেল দুই বছর ব্যবসায়ীরা বেশ খারাপ সময় কাটিয়েছেন।

আশা করছি, এ বছর ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। ইতোমধ্যে সব মার্কেটে ঈদপণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। আগ্রহী ক্রেতারা মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন।

তবে ঈদের দেরি থাকায় অনেক কেনাকাটা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার অনেকে কিনছেন। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকে ঈদের বাজার জমে উঠবে। ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ কাস্টমার পাবেন।’ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দোকানিরা পোশাকের অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। এতে সাধারণ গ্রাহকের ক্রয় ক্ষতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। কোনোভাবে দাম ছাড়ছেন না।

অনেকে বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর থ্রিপিস, শাড়ির দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে। আবার বাচ্চাদের পোশাকে আকাশ-পাতল দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

অতিরিক্ত দাম বা বেশি দামের বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা ব্যবসায়ী, লাভের আশায় ব্যবসা করছি। তবে তা যেন কোন গ্রাহকের মনে কষ্ট দিয়ে না হয়।

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ক্রেতার অবস্থাও পণ্যের পাইকারি মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম ঠিক করা উচিত। এতে ক্রেতারা খুশি থাকবেন এবং পরবর্তী সময়ে একজন ক্রেতা আবারো আসবেন।

মন্তব্য

Beta version