-->
শিরোনাম

আদালতে পুলিশি হেনস্তার শিকার সাংবাদিক

আদালত প্রতিবেদক

আদালতে পুলিশি হেনস্তার শিকার সাংবাদিক
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এমরুল হাসান বাপ্পী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদের হত্যার ঘটনায় মামলার রায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক পুলিশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুন এই মামলার চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় এজলাস কক্ষে প্রবেশ করতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার হন ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এমরুল হাসান বাপ্পী। রায়ের সংবাদ সংগ্রহের জন্য ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের দুই পরিদর্শক আছাদ ও মশিউর রহমান তাকে এজলাস কক্ষের সামনে থেকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে প্রায় ১৫ ফুট দূরে নিয়ে যান। আছাদ ও মশিউর বাপ্পীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এ সময় তার কব্জি, আঙুল ও বুকে খামচি লাগে।

তারা বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে এডিসি হাফিজুর রহমান স্যার সাংবাদিকদের এজলাসে ঢুকতে দিতে মানা করেছেন। এ সময় বাপ্পীকে পুলিশ সদস্যরা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

ভিতরে থাকা সাংবাদিকদের বিচারক নিজেই থাকার অনুমতি দেন এবং রায়ের সময় এজলাসের ভিতরে হাজির ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকার মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবুসহ কর্মরত সাংবাদিকরা এডিসি হাফিজুরের সঙ্গে কথা বলতে চান। প্রথমে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা জড়ো হলে পিপি আব্দুল্লাহ আবুর উপস্থিতিতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি।

তিনি বলেন, যেহেতু ডিউটিরত অফিসাররা আমার কথা বলে হেনস্তা করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে তাই আমি নিজেই তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের প্রধান এবং ডিএমপির উপকমিশনার জাফর হোসেন টেলিফোনে বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, যদি এ রকম হয়ে থাকে তবে বিষয়টি ভালো না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। পরে আবারো টেলিফোনে তিনি বলেন, বাপ্পী সাহেবের কাছে তো বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাফ চেয়ে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেছেন। যেখানে মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু সাহেবও উপস্থিত ছিলেন।

যদিও সাংবাদিকরা হেনস্তাকারী দুই পুলিশ পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। তাদেরকে সাংবাদিকদের সম্মুখে হাজিরের অনুরোধ করলে এডিসি হাফিজুর বলেন, যেহেতু ওই দুই কর্মকর্তা আমার আদেশের প্রেক্ষিতে কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন, তাই আমিই তাদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করলাম। 

মন্তব্য

Beta version