-->
শিরোনাম

'বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে সাড়া দিয়েছিলেন কূটনীতিকরা'

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
'বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে সাড়া দিয়েছিলেন কূটনীতিকরা'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ৬৫ জন কূটনীতিক তাদের জীবন বাজি রেখে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেছেন।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরে আরও ২২জন কূটনৈতিক পদত্যাগ করেন এবং তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পড়ে। এর ফলে পাকিস্তান সরকারের উপর বহির্বিশ্ব থেকে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়।

ড. মোমেন বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের।

বিদেশে কূটনীতিকদের তৎপরতাই বিশ্বজনমত গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেসব কূটনীতিকদের একটি বড় আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণ করার পাশাপাশি তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে চাই।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তরুণ বাঙালি কর্মকর্তাদের প্রলোভন দেখিয়েও পাকিস্তানের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে দৃঢ় ছিলেন সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন স্বাধীনতা যুদ্ধে কূটনীতিকদের বিদেশে তৎপরতার অবদান উল্লেখ করে বলেন, তাদের মহান ভূমিকার জন্যই আজ আমরা কূটনৈতিক রেডিমেট প্লাটফর্ম পেয়েছি। তাই আমরা তাদের অবদানকে স্মরণে রাখতে চাই।

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতাটা ছিল একটি জনযুদ্ধ। সেদিন আমাদের তিন জন রাষ্ট্রদূত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তিনি বলেন, তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন স্বাধীনতা পদক পেলেও তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। কারণ, তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেই। বিদেশে বাংলাদেশের দূত হিসেবে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কূটনীতিকরা।

মন্তব্য

Beta version