-->
শিরোনাম

পি কে হালদারকে ফেরাতে সব চেষ্টা করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
পি কে হালদারকে ফেরাতে সব চেষ্টা করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন

প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তাকে (পি কে হালদার) ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা ও বন্দি বিনিময় চুক্তিসহ সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।’

রোববার (১৫ মে) এই মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে (পিকে হালদার) গ্রেপ্তার করেছে। এখন এর পরবর্তী প্রক্রিয়া হচ্ছে, বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা। আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, সেটার আওতায় আনা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করা আছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাকে নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।'

তিনি বলেন, 'পি কে হালদার যে টাকা আত্মসাত করেছে, পাচার করেছে তা জনগণের টাকা।'

শনিবার (১৪ মে) পি কে হালদারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে শিব শংকর হালদার নামে অবস্থান করছিলেন। এরইমধ্যে তাকে রিমান্ডে নিতেও আবেদন জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন (প্যান) এবং আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন ভারতীয় সরকারি পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কয়েক মাস থেকে বছর সাজা হতে পারে।

২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে পি কে হালদারের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পিকে হালদার ও তার মা, স্ত্রী, ভাইসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সকল সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পি কে হালদার এরও আগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশত্যাগ করেন। এর আগের দিন ২২ অক্টোবর তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। দুদকের এই তথ্য জেনে যান পি কে হালদার। আর এ কারণে দুদকের ওই চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে পৌঁছানোর আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন। এরপর তিনি দুবাই থেকে বিমান টিকিটের ফটোকপি পাঠান বাংলাদেশের হাইকোর্টে। আর খবর প্রচারিত হয়, তিনি কানাডায় আছেন।

তবে শনিবার ভারতে গ্রেপ্তারের পর গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, তিনি শিব শংকর হালদার নামে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। সর্বশেষ গত মার্চে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।

উল্লেখ্য, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার তিনশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ৩৪ টি মামলা করেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য

Beta version