বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে গঠিত 'গণ কমিশন' কর্তৃক প্রকাশিত 'বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন' শীর্ষক শ্বেতপত্র ভিত্তিহীন এবং সংবিধানের মৌলিক ধারণার স্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি নুরুল হুদা ফয়েজী এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে 'গণকমিশন' কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ।
নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, 'সংবিধানের দাবি মতে, দেশের কোনো নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকের ওপরে অনুসন্ধান, গোয়েন্দাগিরি ও তদন্ত করতে পারে না। তাদের কার্যক্রমের নাম তারা দিয়েছে 'তদন্ত'। কিন্তু তদন্ত সংক্রান্ত কোড অফ দ্য ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (১৮৯৮) এর ধারা-৪ এর ১ উপধারা অনুসারে তদন্ত করার জন্য কোনো অথরাইজ ব্যক্তি প্রয়োজন। এই বিবেচনায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও তুরিন আফরোজ গং যা করেছেন তা আমাদের সংবিধানের মৌলিক ধারণার স্পষ্ট লঙ্ঘন।'
গন কমিশনের শ্বেতপত্র প্রকাশ সংবিধানবিরোধী মন্তব্য করে আইম্মা পরিষদের সভাপতি বলেন, 'এই কমিশনের তদন্ত ও শ্বেতপত্রের নৈতিক ও আইনত কোনো ভিত্তি নাই। বরং এটা সংবিধান, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথ্য মানবিক মর্যাদার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপরাধ।'
বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা নিয়ে এক শ্রেণীর এলার্জি নতুন কিছু নয় মন্তব্য করে নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, 'মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ অতীতে কখনো প্রমাণ করতে পারেনি। আলোচিত শ্বেতপত্রে তারা নাকি ১০০০ মাদ্রাসার ওপরে তদন্ত করেছে। আমরা চাই এই তদন্ত প্রতিবেদন জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা হোক। তাহলে দেখা যাবে, মাদ্রাসাগুলো কত অল্প খরচে সততার সাথে হাজারো শিক্ষার্থীর দায়িত্বভার বহন করে চলছে। দেখা যাবে কতটা অল্প বাজেটে কত বেশি মানুষকে কার্যকরভাবে সেবা দেওয়া যায় তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।'
যারা শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে দেশের আলেমদের সম্মানহানি করেছে ও মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনার দাবি জানায় হয় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
মন্তব্য