-->

মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

ঢাবি প্রতিনিধি
মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ভারতে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লি ইউনিটের প্রধান নাভিন জিন্দাল কর্তৃক মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা। তবে মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আনাস ইবনে মুনীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন বলেন, 'আমরা দেখেছি ভারতে বিভিন্ন সময়ে মুসলমানদের নির্যাতন করা হয়, এনআরসির নামে মুসলমানদের নাগরিকহীন করে দেওয়া, রাষ্ট্রহীন করে দেওয়া চক্রান্ত চলছে বিজেপি সরকারের মাধ্যমে। তারই অংশ ছিল রাসুল (সা.) এর অবমাননা। বর্তমানে সারাবিশ্ব আমেরিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ সকল রাষ্ট্র যেভাবে এই বিষয়ের রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করব দ্রুত এই বিষয়ে প্রতিবাদলিপি পেশ করা হোক। এবং সেখানে মুসলমানদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেকা আফরিন দোলা বলেন, 'ভারতে বিজেপি নেতা রাসুল (সা.) এবং আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এই কটূক্তির রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু আমাদের সরকার এখনও কোনো প্রতিবাদ বা নিন্দা জানায়নি। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ভারত হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন মন্তব্য করে অসম্প্রদায়িকতার বন্ধন নিশ্চিহ্ন করতে চায়। আমরা চাই এ ধরনের মন্তব্য যেন আর না হয়।'

তিনি আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ সা. মুসলিম এবং মুসলিম রাষ্ট্রে একজন ভালোবাসার স্থান। তাকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করে সেটি একজন মুসলমান হিসেবে আমরা মেনে নেব না। বাংলাদেশ সরকারও যেন এই কটূক্তির নিন্দা জ্ঞাপন করে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের কটূক্তির না করা হয় যে বিষয়ে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।'

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, 'আমরা দেখতে পাই ভারতের বিজেপির ওই নেতার বক্তব্যে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো যেভাবে ভারতের পন্য বয়কটসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের দেশ থেকেও সরকারিভাবে প্রিয় নবীকে কটূক্তির কারণে এ রকম পদক্ষেপ নেওয়া হোক।'

মন্তব্য

Beta version