-->

মানবিক নীতির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে প্রদর্শনী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
মানবিক নীতির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে প্রদর্শনী

সুইজারল্যান্ডের ফটো এলিসি জাদুঘরের সহায়তায় বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক ভিডিও ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আর্ট ক্লাব) প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স সুজান মুলার, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা এবং কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান মানিশ দাস।

মানবিক সংকটে মানুষ কীভাবে দুর্দশাগ্রস্তদের ব্যক্তিগত বা সামষ্টিকভাবে সহায়তা করতে পারে ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক সমকালীন এই শিল্প উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীটি সেইসকল মানবিক ও ব্যক্তিগত আবেগ এবং অনুসন্ধানের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করবে।

ভিডিও ও আলোকচিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনীটি দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতির গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও তাৎপর্য এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব সম্পর্কে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে।

তা ছাড়া প্রদর্শনীটি মানবতা, পক্ষপাতহীনতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা- এই চারটি মানবিক নীতিবিষয়ক আলোচনা এবং মতামত প্রকাশের একটি স্থান ও সুযোগ তৈরি করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মিস সুজান মুলার বলেন, ‘মানবিক নীতিগুলো সুইজারল্যান্ডের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা বাংলাদেশের সাথে আমাদের পাঁচ দশকব্যাপী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

সুইজারল্যান্ড ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও (কক্সবাজারের) স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে।

মানবিক সহায়তা প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এই সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকালীন সময়ে এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের সাথে সুইজারল্যান্ডের শক্তিশালী এবং বহুমাত্রিক সম্পর্কের একটি প্রধান ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে।

কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান মানিশ দাস বলেন, আইসিআরসির কার্যক্রমের মূলে রয়েছে মানবিক নীতি।

এগুলোই হলো ভিত্তি স্তম্ভ যা আইসিআরসিকে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আস্থাভাজন হয়ে, তাদের মানবিক চাহিদাগুলিকে সর্বোত্তম উপায়ে বোঝার এবং সমাধান করার চেষ্টা করার জন্য পরিচালিত করে।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি এই প্রদর্শনী মানবিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে সেগুলোর সাথে মানুষের একাত্মতা তৈরি করতে সহায়তা করবে’।

‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ প্রদর্শনীতে আলোকচিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে শিল্পীরা তাদের নূতন, স্থানিক এবং সমসাময়িক দৃষ্টিকোণ থেকে মানবিক নীতিগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রদর্শিত ছবিগুলোতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আইসিআরসি এবং সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা ও কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটেছে।

১০ জন সুইস আলোকচিত্রির লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখা দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতিগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে তাদের নির্মিত ১০টি মৌলিক শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে।

এ ছাড়াও পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬টি আলোকচিত্রও রয়েছে প্রদর্শনীতে।

মানবিক নীতি ও এর তাৎপর্য বোধে উদ্দীপ্ত হতে এই প্রদর্শনীটি দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আর্ট ক্লাব) প্রদর্শনীটি ইংরেজি এবং বাংলা দ্বৈত ভাষাতে উপস্থাপন করা হবে যা উপভোগ করার জন্য সকল দর্শণার্থীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে।

প্রদর্শনীটি ৯ জুন থেকে ১৮ জুন প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মন্তব্য

Beta version