ঢাকা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অবসরে যাচ্ছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ল্যাম্পগ্রান্টসহ আগামী ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ বছরের অবসর ও অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরো জানানো হয়েছে, বিধি অনুযায়ী বেনজীর আহমেদ অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
আইজিপি হওয়ার আগে তিনি র্যাব মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
ড. বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা দূর করতে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনেন। পুলিশের পদোন্নতি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণের মতো যুগান্তকারী সিদ্ধান্তও নেন তিনি। হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং চালু করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের জন্য ট্যাকটিক্যাল বেল্ট চালু করেন। নারীদের সাইবার বুলিংয়ের মতো নির্যাতন বন্ধে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে সেবার প্রবর্তন করেন।
আইজিপি হিসেবে বেনজীর আহমেদ টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নতুন ইউনিট চালু, ভাসানচরে নতুন পুলিশ স্টেশন নির্মাণ, করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসাসেবা দিতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়ন এবং ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে তা এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরণে বিশেষ অবদান রাখেন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য