মাদক সেবনে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা।
তিনি বলেন, মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মাদক। জীবনের লক্ষ্য থেকে দূরে চলে যায় যুব সমাজ। মাদক সেবন থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
রোববার সকালে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের হল রুমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্মার্ট মাদক প্রতিরোধ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এসএমপিএসবি) আয়োজিত মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মাদক। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণ এখনই জরুরি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ৯৯% মানুষের মাদক সেবনে কোনো লাইসেন্স নেই। কোনো পরিবারে কেউ যদি মাদকাসক্ত হয় সে পরিবারে অন্য সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যে যার জায়গা থেকে সচেতনা বাড়াতে পারলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, মাদক সেবনের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান চলছে। আমাদের সমস্ত সংস্থা কাজ করছে। তবুও এটাকে মোকাবিলা করতে পারছি না। কারণ বাংলাদেশে মাদকের বড় ধরনের চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাদকের চাহিদা না থাকলে এই অবস্থা হত না। এই চহিদা বা ডিমান্ড বন্ধ করতে হবে। তাই আজকে আমাদের এই সচেতনামূলক অনুষ্ঠান। মাদকের চাহিদা বন্ধ করতে হবে। যারা মাদক সেবন করে তারা কোনো না কোনোভাবে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে করে। তাই যারা মাদকগ্রহণ করে তাদের সচেতন করতে হবে। যে একবার মাদকাসক্ত হয় সে বার বার মাদক নিতে চায়।
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল নীনা একরামের সভাপতিত্বে ও স্মার্ট মাদক প্রতিরোধ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এসএমপিএসবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান, উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য