-->

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননী

মাগুরা প্রতিনিধি
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননী
কথিত প্রেমিক তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী। ওই নারী বিয়ে না করে যাবেন না বলে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সাহায্য চেয়েছেন। বর্তমান স্বামী ও সন্তানদের বাবার বাড়ি রেখে এসেছেন তিনি।

 

শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

 

এই নারী পরকীয়া প্রেমের কারণে শনিবার প্রেমিকের বাড়িতে এসেছেন। এখন তিনি কমলাপুর গ্রামের কথিত প্রেমিক তোফাজ্জল হোসেন ওরফে শহর আলীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। তোফাজ্জল হোসেন ওই গ্রামের জোবান বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।

 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান আইয়ুব হোসেন বলেন, এই মেয়ে একা এসেছে যশোর থেকে। শুনেছি তার দুটি সন্তান আছে। সেই সঙ্গে তার বর্তমান স্বামীর একটি কাপড়ের দোকান আছে যশোরে। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হতো না। এরপর যশোরে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় তোফাজ্জল তার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।

 

বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সেখানে সালিশ-বিচার হয়। এরপর সেই ছেলে ঢাকায় বদলি নেয়। কিন্তু সম্পর্ক কাটেনি। নিজের স্বামীর সঙ্গে এসব নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হতো বলে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে এসেছে। এখন পুলিশে খবর দিয়েছে। পুলিশ দেখছে বিষয়টি।

 

তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, তোফাজ্জল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার বছর আমার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। তার দেয়া বিয়ের প্রলোভনে আমি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। এখন আমার স্বামীর বাড়ি বাবার বাড়ি কোথাও জায়গা নাই। আমি তোফাজ্জলকেই বিয়ে করতে চাই। বিয়ে ছাড়া আমি এখান থেকে যাব না।

 

প্রেমিক তোফাজ্জল শনিবার সারা দিন বাড়ি থাকলেও রোববার দুপুরের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।

 

তবে তোফাজ্জল হোসেনের মা জানিয়েছেন, তার ছেলেকে অসহায়ত্বের কথা বলে ফাঁসানো হয়েছে। তারা এই বিয়েতে রাজি না।

 

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই বাড়িতে গ্রাম-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় থানা পুলিশ নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।

 

শ্রীপুর থানার ওসি মো. জাব্বারুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিলে আমরা বিষয়টি দেখছি। সেই মহিলা বিয়ের দাবি করছে। পুলিশ তো আর বিয়ে দিতে পারে না।

 

এলাকার কোনো সালিশ সে মানছে না। পুলিশ আছে সেখানে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version