-->
শিরোনাম

অফিসের ছাদে বাগান করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ২ কর্মকর্তা

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর
অফিসের ছাদে বাগান করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ২ কর্মকর্তা
নিজের তৈরি ছাদবাগানের গাছে পরিচর্যা করছেন এক কর্মকর্তা

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে অফিসে ছাদবাগান করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন শরীয়তপুরে কর্মরত প্রথম শ্রেণির ২ কর্মকর্তা। একজন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন এবং অন্যজন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। প্রতিদিন শত শত লোক তাদের এই ছাদবাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। ফুল ও ফলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শনার্থীরা।

 

শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চত্বর যেন পুরো ফল আর ফুলের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতদিন যেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তপ ছিল। সেখানে এখন শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের ফুল আর ফলের সমারোহ। প্রতিদিন শত শত লোক জেলা পরিষদ ঘুরে নানা জাতের ফল আর ফুলের সুভাশে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।

 

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন বলেন, নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ফুলে-ফলে সজ্জিত হয়ে পুরোনো রূপ পাল্টিয়ে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ একেবারেই আধুনিক রূপ ধারণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষ রোপণের আহব্বানে সারা দিয়েই শরীয়তপুর জেলা পরিষদের বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে গাছ রোপণ করা শুরু করি।

 

তিনি বলেন, অনেক গাছে প্রচুর ফল ধরেছে যা আমাদের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন জীবনের ফলের চাহিদা মিটাচ্ছে। ফুলে-ফলে বদলে গেছে জেলা পরিষদের পুরো পরিবেশও। জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলা সদরের আটং, কানার বাজার, আটিপাড়া, বিলাসখানসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দু’পাশে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধ লক্ষ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। একই সাথে জেলা পরিষদ চত্বর ও অফিসের ছাদে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের বাগান।

 

এদিকে শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ছাদে ফল বাগান করে সুনাম কুড়িয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। জেলা শহরের ধানুকায় অবস্থিত জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল ফটক থেকেই চোখ জুড়াবে সবুজের সমারোহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহব্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে পতিত জমি এবং ছাদে সারি সারি বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছের বাগান, বিভিন্ন ধরনের ওষধি গাছ ও শাক-সবজির সমারোহে মনোরম পরিবেশ তৈরি করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব।

 

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৫০ ধরনের ফুল ও ফলের সহস্রাধিক গাছ সংগ্রহ করেছেন তিনি। মাল্টা, সফেদা, কমলা, আঙুর, বাতাবি লেবু, কাগজী, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ চোখে পড়েছে। প্রকৌশলী আহসান হাবীবের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে আমের মুকুল এসেছে।

 

একাধিক গাছে কমলা, পেয়ারা ও মাল্টা ফল ধরেছে। ফলন এসেছে সফেদা গাছেও। সবুজে ছেয়ে গেছে পুরো পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর। বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকট থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার পাশাপাশি প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহব্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছাদ ও ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন ফল, ফুল এবং শাকসবজির গাছ রোপণ করে বাগান তৈরি করেছেন বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব।

 

প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কলনিতে প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে। আমাদের সব ভবন নতুন। অন্য ডিভিশনের চাইতে এখানে কম জায়গা রয়েছে। আমাদের বিল্ডিংয়ের মাঝে মাঝে যেই জায়গাগুলো রয়েছে তাতে এ বছর ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করেছি। আমরা এখানে ফলের গাছ লাগিয়েছি এবং প্রতেকটা বিল্ডিংয়ের ছাদে ছাদবাগান করেছি।

 

বাগানে আমি নিজেসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এসব ফুল-ফলের রক্ষণাবেক্ষণে পরিচর্যা করে। আমাদের অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি ছাদবাগানে কাজ করি। এতে আনন্দ পাই। অন্যদিকে ছাদবাগান থেকে ফুল ও ফলমূল পেয়ে থাকি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version