-->

রমজানের আগেই বাড়তি ডাল-ছোলা-বেসনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজানের আগেই বাড়তি ডাল-ছোলা-বেসনের দাম

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। তিন সপ্তাহ বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রোজার মাস। এর আগেই কেনাকাটা বেড়েছে ডাল, ছোলা, বেসনের মতো পণ্যের দাম। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ধীরে ধীরে বাড়ছে এসব পণ্যের দামও। বিক্রেতারা বলছেন, ছোলা-বুটের বাজার এবার কী হবে, তা তারা বুঝতে পারছেন না।

 

কারো কারো কাছে খবর আছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ৫-১০ টাকা পণ্যপ্রতি বাড়লেও এলসি খুলে দেয়ায় ভারত থেকে আমদানি বাড়লে স্থিতিশীল থাকবে বাজার। যদিও ইতোমধ্যে দাম বেড়েছে এসব পণ্যের।

 

কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলার দাম মানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার প্রতি কেজি বুটের ডাল গত সপ্তাহে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়। বেসনের কেজি ১২০ টাকা।

 

দোকানিরা বলেন, এলসি বন্ধ থাকায় ডাল-ছোলার দাম একটু বেড়েছিল, তবে তা কমে যাবে। ভারত থেকে পণ্য আসার খবরে পাইকারি বাজারে কমার আভাস পাচ্ছি। মুড়ির দাম তেমন বাড়েনি। আগে যা তাই। এদিকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। গ্রীষ্মের নতুন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম বেশি। বাজারে ১ কেজি করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১২০, পটোল ১২০ ও ঝিঙা ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্যদিকে দফায় দফায় দাম বেড়ে সাধারণের নাগালের বাইরে গেছে মাছ-মাংস কিংবা ব্রয়লার মুরগি। তেল, চাল, চিনি আটা, ময়দা আগের মতোই বাড়তি দামে আটকে আছে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। একইভাবে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১৪০-২৮০ টাকা, আর রসুন ১৬০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা শুকনা মরিচের কেজি ৪০০-৫০০ টাকা।

 

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি খোলা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর নানা কোম্পানির প্যাকেটজাত ৫০০ গ্রাম মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। রমজানের পণ্যের খোঁজখবর করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, প্রতিবারই তো দাম বেড়ে যায়। দোকানদাররা বলছে এবার ৮০-৯০ টাকাতেই ছোলা-ডালের দাম আটকা থাকবে, তবে হতে পারে যেকোনো কিছুই, ভরসা করা যাচ্ছে না।

 

দাম বৃদ্ধিতে বাদ যায়নি মাছের বাজারও। মিরপুর ২ নম্বর কাঁচাবাজারে চাষের বিভিন্ন জাতের মাছে দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০-৫০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস যেখানে বিক্রি হত ১৫০-১৬০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। প্রতি কেজি তেলাপিয়া কিনতে গুনতে হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা। আর উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেড়েছে আরো বেশি।

 

ইলিশ-চিংড়ি ও দেশি নানা জাতের মাছে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা সোহেল মিয়া জানান, প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১০০০ টাকায়, যা আগে ৫০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হত। রুই, কাতল, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হতো।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version