রাজধানীর গুলশান এক নম্বরে ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ নামে একটি মার্কেট সিলগালা করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এতে গুলশান, বনানীসহ এর আশপাশের এলাকায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় ওই মার্কেটটি সিলগালা করেন। এরপরেই ব্যবসায়ীরা গুলশান এক নম্বর সিগন্যাল অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের কারণে গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ অভিমুখী সড়ক, হাতিরঝিল থেকে গুলশান-১ অভিমুখী সড়ক, মহাখালী থেকে গুলশান-১ অভিমুখী সড়ক, বনানী, গুলশান লিংক রোড হয়ে রামপুরা ব্রিজ ও আবুল হোটেল পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে দীর্ঘক্ষণেও ব্যবসায়ীদের অবরোধ তুলে না নেওয়ায় এবং গাড়ি না নড়ায় হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায় যাত্রীদের। ফলে যাত্রীশূন্য বাস নিয়ে সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছেন চালকরা।
গুলশান ২ থেকে হেঁটেই হাতিরঝিল যাওয়া যাত্রী রায়হান উদ্দিন বলেন, এভাবে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া মোটেই উচিত নয়। আমাদের সাধারণ যাত্রীদের এ গরমের মধ্যে কষ্ট করে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের চালক শরীপ শাহিনুর আলম বলেন, তিনঘণ্টা ধরে গুলশান-১ সিগনালের আগে লেকের পাড়ে বসে আছি। যানজটে বিরক্ত হয়ে যাত্রীরা নেমেই গন্তব্যে চলে গেছে।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ এলাকায় একটি ভবন পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেটি আজ সিলগালা করতে এসেছিলেন ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। কারণ সেখানে সম্ভবত নতুনভাবে মার্কেট ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ওই মার্কেটের দোকানি-কর্মচারীরা এসে সড়ক অবরোধ করেন। তারা বর্তমানে গুলশান-১ এর গোলচত্বরে অবস্থান করছেন। তবে তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য