-->

হিরো আলমের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
হিরো আলমের  উপর হামলা

রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নিরাপত্তায় তাকে কেন্দ্র থেকে বাহির নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার আগে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বনানী বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে প্রবেশ করেন হিরো আলম। এ সময় তার সমর্থকরাও সঙ্গে ছিল । নৌকা প্রার্থী আরাফাতের সমর্থকরা তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। এরপর হিরো আলম কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের ভবনের একটি কক্ষে ঢুকতে যান। তখন নৌকার সমর্থকরা তাকে গালাগালি শুরু করেন। তাদের মধ্য থেকে একজন হিরো আলমকে ধাক্কা দেন। এতে হিরো আলম ক্ষেপে যান এবং সেই যুবকের দিকে তেড়ে যান। এই অবস্থা দেখে উপস্থিত আনসার ও পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এক পুলিশ সদস্য হিরো আলমকে রক্ষা করে গেটের দিকে নিয়ে যায়।

 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ সংক্রান্ত ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক তাকে মারধর করতে থাকে। এসময় ভুয়া ভুয়া বলে তাকে ধাওয়া করা হয়। তারা হিরো আলমকে ধাওয়া দেন এবং তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের মারধরে মাটিতে পড়ে যান হিরো আলম। এ সময় প্রায় ৫০ জনের বেশি যুবক ৩০ সেকেন্ড ধরে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। হিরো আলমের সমর্থকরা তাকে দ্রুত তুলে নিয়ে দৌড় দিলে নৌকার সমর্থকরা তাদের পেছন পেছন যায় এবং আবারও আরেক দফা হামলা করে। তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান। পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন হিরো আলম।

 

পরে হিরো আলমকে চিকিৎসার জন্য রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কথা বলেন তার সাথে থাকা রাজিব। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার ওপর অতর্কিত হামলা শুরু হয়। কয়েক দফায় তাকে মারধর করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো হামলাকারীদের সহযোগীতা করেছেন। হিরো আলম হামলাকারীদের আঘাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

এ বিষয়ে বনানীর বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

 

অন্যদিকে এর আগে, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মাথায়ই হিরো আলম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রগুলো থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

 

জানা গেছে, হিরো আলম মারধরের শিকারের পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন ভবন ছেড়েছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version