ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মানবাধিকারের আরও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকারি সূত্র আজ একথা জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠকে এ মন্তব্য করা হয়েছে।- বাসস
আজ সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘন্টারও বেশি বৈঠকে গিলমোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও দেশের শ্রম আইন সংশোধনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন। যোগাযোগ করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বাসসকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরকারী সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠানো, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও শ্রম আইন প্রধানত আলোচনায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ইইউ বিশেষ প্রতিনিধিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর ইইউ সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তিনি ইইউ’কে আহ্বান জানান।
বৈঠকে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টর ভেলেক, রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্টিয়ান রিগার-ব্রাউন উপস্থিত ছিলেন। ছয় দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসা গিলমোর মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়াও তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা ও কক্সবাজার শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করবেন গিলমোর।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য