ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৫ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিলেন, টাকা অফার করেছিলেন। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করিনি। আমরা ২-৪টি আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি, তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু ও আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় নির্বাচন পেছনোর- সেটি হয়তো ইসি এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক- নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে কোনো জোট করে, তাহলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে, সেই সমস্ত আসনকে নিশ্চিত করেই আমাদের জোট হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চায়। তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে গেছে। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও তাই হবে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সকল রাজনৈতিক দলকে সংযত এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।
নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ