ছবি: ভোরের আকাশ
গাইবান্ধায় প্রকাশ্যে দিনের আলোতেই রুবেল মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাবুসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধা পৌর শহরের শাপলা মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত এ হামলার খবরে পুরো এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় গুরুতর আহত রুবেল মিয়া গাইবান্ধা পৌরসভার মুহুরি পাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মোকাব্বর মিয়ার ছেলে। প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত মোশারফকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জানান, বন্ধু মোশারফ রহমানের সঙ্গে দেখা করতে শাপলা মেল এলাকায় যান রুবেল। সেখানে পৌঁছাতেই পূর্বশত্রুতার জেরে সুখনগর এলাকার বাবুসহ পাঁচ থেকে সাত জন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে মোশারফ ও রুবেলের ওপর হামলা চালায়। এতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ‘বেকি’ দিয়ে প্রথম আঘাতেই তারা রুবেলের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত বন্ধু মোশারফ রহমান বলেন, আমাদের সঙ্গে বাবুর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। কিন্তু কেন আমার নিরীহ বন্ধুকে এভাবে কুপিয়ে হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে দিলো তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাকেও তারা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে।
রুবেলের বাবা মোকাব্বর মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে কোনও কারণ ছাড়াই এভাবে হত্যার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছে। যারা আমার সন্তানের হাতের কবজি কেটে দিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাটা কবজিটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবুসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এ নৃশংস হামলায় এলাকায় নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় উঠেছে। স্বজন ও এলাকাবাসী দ্রুত সব আসামিকে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
"নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি-" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাগুরার মহম্মদপুরে রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিনি হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ শাহানুর জামান এর সভাপতিত্বে অদম্য ৫ জন নারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মতর্কা মোছাঃ তাহমিনা আফরোজ।এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি'র সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ অবঃ মতিউর রহমান, কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ এস এম ইউনুচ আলী, টি এন্ড টি সাবেক কর্মকর্তা সমাজসেবক মো. জিয়াউল হক বাচ্চু, প্রেসক্লাব মহম্মদপুর এর সভাপতি মো. আজিজুর রহমান টুটুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ রেশমা খাতুন, একাডেমিক সুপারভাইজার প্রনব কুমার পোদ্দার, তথ্য সেবা কর্মকর্তা এমিলিয়া জামান সেতু, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদৌসি আক্তার প্রমুখ।আলোচনা শেষে ৫ জন অদম্য নারীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।তারা হলেন, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে মহম্মদপুর ইউনিয়নের রুইজানি গ্রামের বিলতা রানী বিশ্বাস, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী বাবুখালী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মোছাঃ লিপি খাতুন, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য ভুমিকা রাখায় মহম্মদপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের সুলতানা রউফুন্নাহার , নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী বিনোদপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া গ্রামের মোছাঃ রিক্তা পারভীন ও সফল জননী নারী বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া গ্রামের মোছাঃ আঞ্জুমান আরা বেগম।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের টেকনাফ মহাসড়কে মিনিট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা আলীখালী রাস্তার মাথা এলাকায় হাইওয়ে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার ওসি নুরুল আবছার।নিহতরা হলেন, সিএনজি চালক হ্নীলা মৌলভী বাজার পূর্ব পাড়ার মো. সেলিমের ছেলে মো. ফারুক ও টেকনাফ নাজির পাড়ার ছৈয়দ নুরের ছেলে ইমান হোসেন।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার ওসি নুরুল আবছার জানান, হ্নীলা থেকে টেকনাফগামী একটি অটোরিকশার সঙ্গে কক্সবাজারমুখী একটি মাছ বোঝাই মিনি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক মো. ফারুক ও গাড়িতে থাকা মো. ইসমাইলসহ দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশাটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।টেকনাফ মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা সহলে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। বাকিটা তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
খুলনা-৩ আসনে সকলের দায়িত্ব আমার, এখানে কোন ধর্মের ভেদাভেদ থাকবে না। সকলে মিলেমিশে এলাকার উন্নয়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও খুলনার ৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল।মঙ্গলবার বিকেলে খালিশপুরস্থ বাসভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বিনিময় কালে এ কথা বলেন তিনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি'র সংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, সুজানা জলি, প্রভুদেব জিতু সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য যারা কাজ করেছে, আগামীতেও করবে এমন প্রার্থীদের ভোট দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবে হায়াত এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক, সিলেট বিভাগীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক।বক্তৃতার শুরুতে তিনি বিজয়ের মাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। আমাদের মা অসুস্থ। আমি তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য আপনাদের কাছে দোয়া কামনা করছি।”তিনি আরও বলেন, “একটি স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ গণতন্ত্র হলো নির্বাচন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই জনগণের সরকার। আপনারা যদি আমাকে ভোট দেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—মধ্যনগর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা—এই চার উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।”বক্তৃতার শেষ দিকে তিনি সকলের দোয়া ও ধানের শীষের প্রতি সমর্থন কামনা করেন এবং সকলে সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।কর্মী সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোসাহিদ তালুকদার, সুইডেন প্রবাসী ও সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য মাহাবুব, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম সাইফুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মুসাব্বির হোসেন সাগরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও তাহিরপুরের নেতৃবৃন্দও সভায় উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে সভাপতি সমাপনী বক্তব্য দেন। পরে উপস্থিত জনতাকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশাল মিছিল উপজেলা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে ধানের শীষের প্রার্থী আনিসুল হক আবারো সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধির আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ