ছবি : সংগৃহীত
দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষকদের চলা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যালয়গুলোতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে আবারও শুরু হচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে হঠাৎ প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের বদলির আদেশের পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদ এর চলমান কর্মসূচি পালিত হয়। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে। উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কমসূচি দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞিপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন সহকারী শিক্ষকরা।
সেদিন তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও ২২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তিন দফা দাবির বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
শিক্ষকদের ৩ দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ নভেম্বরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতার অবসান।
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ ঘোষণার এক দফা দাবিতে শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তর আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে যৌথ লিখিত বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ ও মো. আবির হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক দফা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে গতকাল রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিই আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাবো।সাত কলেজের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ২০১৭ সাল থেকে চলছে জানিয়ে তারা বলেন, আমরা এখন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রয়েছি। আমরা মনে করছি, এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের সাথে চলা দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনার অবসান হবে। সুযোগ তৈরি হবে একটি গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার। এখানে তৈরি হবে গবেষণার পরিবেশ।আবির বলেন, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি খসড়া প্রকাশের কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষা সিন্ডিকেট ও ষড়যন্ত্রকারীদের চাপে সরকার এ খসড়া এখনো চূড়ান্ত করে প্রকাশ করছে না। সর্বশেষ আমরা গত ৭ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ প্রকাশ, নতুন সেশনের ক্লাস শুরু করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর এক দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করি।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের শ্রেণি পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে।আব্দুল্লাহ ফাহাদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাদেশ ও নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর বিষয়গুলো পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাদেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হবে। তবে এ খসড়া কবে প্রকাশ হবে বা চূড়ান্ত অধ্যাদেশ কবে প্রকাশ হবে, এসব বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা উল্লেখ করা হয়নি। আর ক্লাস শুরুর বিষয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রকাশিত অধ্যাদেশে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবে। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এদিকে গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রস্তাবিত নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারণ করে। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।ভোরের আকাশ/তা.কা
দেশজুড়ে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেউ গেটে পৌঁছালে তাকে আর ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।এদিকে, এ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে শুরু হবে। এ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষা চলবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এ লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষা দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম এবং এইচএসসি/সমমানের প্রবেশপত্র বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটরসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা বাড়তি সামগ্রী আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ১০০টি এমসিকিউ, প্রতিটির মান ১। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হলো—জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি ১৫। পাশ নম্বর ৪০। ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫ আসনসহ মোট ৫ হাজার ৬৪৫ আসন রয়েছে। বেসরকারি কলেজে এমবিবিএসে রয়েছে ৬,০০১ এবং বিডিএসে ১,৪০৫ আসন রয়েছে। মোট মিলিয়ে আসন সংখ্যা ১৩ হাজার ০৫১। এসব আসনের জন্য আবেদন করেছেন ১ রাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। তাদের মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই এবং এ বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি, দাখিল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ ও অনলাইনে চালান অনুমোদন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো মানসম্মত বই পৌঁছে দিতে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস. এম. জিয়াউল হায়দার হেনরীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড) স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ শুরু করেছে। এ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ ও বিতরণ কার্যক্রম আরও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশনাগুলো মানার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।নির্দেশনাগুলো হচ্ছে–১. জেলা, উপজেলা বা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এনসিটিবির নির্ধারিত টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে বই বুঝে নিতে হবে।২. বই গ্রহণের পর https://nctb.ihealthscreen.org ঠিকানায় ‘পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ বা বিতরণ সিস্টেম’-এ প্রবেশ করে মেনুর ‘Chalan Management’ অপশনে গিয়ে বিদ্যমান ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে চালানের অনুমোদন দিতে হবে।৩. পাঠ্যপুস্তক গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ে অনলাইনে চালান অনুমোদন সম্পন্ন করতে হবে।৪. সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও বই সরবরাহ ও গ্রহণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।৫. সব জেলা, উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নিজ নিজ ইউজার অ্যাকাউন্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাম, মোবাইল নম্বর ও স্বাক্ষর হালনাগাদ করে আপলোড করতে হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—অধ্যাদেশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই সিদ্ধান্ত মতে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফের তারা সড়ক অবরোধসহ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন।রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষা ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির ঘোষণাটি দেন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরিচয় সংকট ও একাডেমিক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই তারা সড়ক অবরোধ, অবস্থান, ঘেরাওসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।তাদের আরও অভিযোগ, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত অধ্যাদেশের কাজ দীর্ঘদিন ধরে স্থবির। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় সংকট, পাঠদান জটিলতা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। জনদুর্ভোগ এড়াতে তারা শিক্ষা ভবনের পাশে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন।যদিও দাবি না মানা হলে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তারা আবারও সড়ক অবরোধসহ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন।এর আগে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি চালান। এতে হাইকোর্টের মাজার রোড, সচিবালয়ের সামনের সড়কসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ভোরের আকাশ/মো.আ.