সকালে খালি পেটে পানি কতটুকু খাবেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তবে কতটুকু পানি একবারে পান করা উচিত, তা নিয়ে নানা মত থাকলেও বিশেষজ্ঞরা পরিমিত ও সঠিক পরিমাণের পানি পান করার পরামর্শ দেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ থেকে ২ গ্লাস হালকা গরম পানি খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
একবারে বেশি পরিমাণে পানি (যেমন ১ লিটার বা তার বেশি) খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে ও খাবারের আগে-পরেও পরিমাণমতো পানি পান করা উচিত।
পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
ঘুম থেকে উঠে ২ গ্লাস পানি পান করুন।
প্রতিবার খাবারের আগে ১ গ্লাস পানি খান।
খাবারের আধা ঘণ্টা পর ১ গ্লাস পানি পান করা ভালো।
রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন।
সারাদিনে মোট ৩ লিটার পানি পান করা উচিত, কিন্তু তা ভাগ করে নিয়মিত পান করতে হবে।
ঘুমানোর সময় শরীর পানিশূন্যতায় ভুগে। সকালে পানি পান করলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়, বিপাক ত্বরান্বিত হয় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। তাই দিনে সুস্থ ও সতেজ থাকতে খালি পেটে পানি পান অত্যন্ত উপকারী।
যারা কিডনি বা হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অতিরিক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকা উচিত।
একবারে অতিরিক্ত পানি পান কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
সুতরাং, সুস্থতা বজায় রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে ১-২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন এবং সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ভাগ করে ভাগ করে পান করুন।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
পানীয় হিসেবে স্বাদ, গন্ধ এবং উপকারিতার কারণে কফি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। কফি শরীরকে চাঙা করে তোলে, শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। তবে মানুষভেদে কফি পান করার ধরনে ভিন্নতা রয়েছে। কেউ অতিরিক্ত দুধ-চিনিযুক্ত, আবার কেউ দুধ, চিনি ছাড়াই কফি পান করতে পছন্দ করেন। তবে চিনিযুক্ত কফি খেলে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার হৃদরোগসহ বেশকিছু রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই চিনি ছাড়া কফি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো অবশ্যই জানা উচিত।অনেকেই দিন শুরু করেন এক কাপ কফি দিয়ে। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর নিয়মিত কফি পান করলে বাড়তে পারে আয়ু। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে কফি খাওয়ার এই অভ্যাসটি শুধু মন ভালো করে না শরীরেরও উপকারে আসে। বিশেষ করে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।তবে যদি কফিতে চিনি, দুধ বা ক্রিম মেশানো থাকে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পানের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারি।গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি ওজন নিয়ন্ত্রণ, মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধি এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।চিনি ছাড়া কফি পানে বিশেষ কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ:ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: চিনি ছাড়া কফি খেলে বিপাক বৃদ্ধি পায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: কফিতে থাকা ক্যাফেইন এডেনোসাইনকে ব্লক করে, যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও পলিফেনল ফ্রি র্যাডিকেল থেকে কোষকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে।লিভার সুস্থ রাখে: ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে। ৩–৪ কাপ কফি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।হৃদরোগ ও নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমায়: আলঝাইমার, পার্কিনসন, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: কফি দেহের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি: দিনে এক থেকে তিন কাপ ব্ল্যাক কফি পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি ও হার্ট-সংক্রান্ত মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে।সুতরাং, স্বাস্থ্যের দিক থেকে কফি হতে পারে আপনার দিনের একটি স্বাস্থ্যকর অংশ, যদি তা চিনি ছাড়া খাওয়া হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা
শিশুর রাগ স্বাভাবিক আবেগের অংশ, যা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কখনও কখনও এই রাগ সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে, যা বাবা-মা এবং শিশুর জন্যই চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুদের রাগ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছে।১. রাগকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াশিশু যদি চিৎকার-চেঁচামেচি করছে এবং তা ইচ্ছাকৃতভাবে করছে, তবে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। গুরুত্ব না দিলে শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই শান্ত হয়ে যেতে পারে।২. সব জায়গায় ঘুরতে না নেওয়াশিশুরা প্রায়ই চকোলেট বা খেলনার মতো আবদারের কারণে জেদ দেখায়। তাই এমন কোনো জায়গায় না নিয়ে যাওয়া ভালো, যা দেখে তারা জেদ বা রাগের প্রকাশ করতে পারে।৩. কান্না থামাতে জোর না দেওয়াশিশু যখন চিৎকার করছে, তাকে থামানোর চেষ্টা করা বরং পরিস্থিতি বাড়াতে পারে। তাকে একা থাকতে দিন। কিছুক্ষণ পর শিশুটি নিজেই শান্ত হয়ে যাবে।৪. লক্ষ্য স্থির করে দেওয়াশিশুরা সবকিছু চাওয়ার সাথে সাথেই পেলে আসক্ত হয়ে যায়। তাই তাদের আবদার সঙ্গে সঙ্গে পূরণ না করে, কিছু শর্ত ও লক্ষ্য স্থির করুন। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে তবেই তারা ইচ্ছাকৃত জিনিস পাবে।৫. অন্যদের সঙ্গে মেশার সুযোগ দেওয়াশিশুরা ছবি আঁকা, খেলাধুলা বা অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার সময় ব্যস্ত থাকলে রাগ কমে। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।পেশাদারদের মতে, এসব কৌশল নিয়মিত প্রয়োগ করলে শিশুদের রাগের প্রকাশ সুস্থভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে বর্ষায় বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন অনেকেই। অফ-পিক মৌসুম হওয়ায় একটু কম খরচেও বেড়ানো যায়। পাহাড়, চা-বাগান, নদীতীরের এলাকায় বর্ষাকাল তার রূপ উজাড় করে হাজির হয়। তা দেখতে ছুটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে বর্ষার ভ্রমণ অন্য সময় থেকে একটু আলাদা।বর্ষায় বাংলার যে রূপ দেখা যায়, তা অন্য কোনো সময় দেখা যায়না। তাই এই সময়টা আমাদের দেশের মানুষ বেড়িয়ে পড়েন দেশের নানা প্রান্তের নানা রূপ দেখতে। কিন্তু বর্ষায় কিছু অসাবধানতা আপনার ভ্রমণের সময়কে বিষাদে ভরে দিতে পারে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ভ্রমণ হবে আনন্দদায়ক।বর্ষায় অনেকক্ষেত্রে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তখন তারা ভাগ্যকেই দোষারোপ করেন। কিন্তু নিজের কপালকে দোষ দেওয়ার আগে ভাবুন, যেখানে গিয়েছেন সেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার বা অতিরিক্ত ঘোরাঘুরির ফলে পরিশ্রম কিংবা আবহাওয়া আপনার অসুস্থতার জন্য দায়ী নয় তো? তাই অবস্থা বুঝে খাওয়াদাওয়া করতে হবেবেড়াতে গিয়ে অনেকে বিলাসবহুল রিসোর্টে ওঠেন। সেসব হোটেলগুলো খাবারের পানি সঠিকভাবে ফিল্টার করছে কিনা, তা চেক করে নিতে হবে। একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ৩০-৭০% ট্র্যাভেলার্স ডায়রিয়াতে ভোগেন। এর জন্য বেড়ানোর জায়গার পানিই দায়ী।অনেক সময় আমরা বেড়ানোর প্যাকিং লিস্টে ওষুধ রাখতে ভুলে যাই। তাই প্যাকিং লিস্ট তৈরির সময় সজাগ থাকুন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।ভোরের আকাশ/তা.কা
বর্তমান সময়ে কর্মজীবীদের জন্য মেরুদণ্ড ও পিঠের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অফিসে দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার কারণে মেরুদণ্ডের পেশীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা ঘাড় ও কোমরের ব্যথা, চোখে চাপ এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণরাও এখন এই সমস্যার শিকার হচ্ছে।চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত বিরতিতে উঠে হাঁটা, স্ট্রেচিং করা এবং সঠিক ভঙ্গিতে বসা অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, চেয়ারে বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে, হাঁটু ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো উচিত এবং পা মেঝেতে সমানভাবে রাখা উচিত। পিঠের নিচে ছোট বালিশ ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায়।তাদের পরামর্শে আরও রয়েছে –প্রতি ৩০ মিনিটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ হাঁটতে হবে।স্ক্রিন চোখের সমান উচ্চতায় রাখতে হবে।পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যেমন ক্যাট-কাউ স্ট্রেচ, চাইল্ড’স পোজ এবং ব্রিজ এক্সারসাইজ করা জরুরি। ভারি ওজন তোলার সময় হাঁটু ভেঙে ওজন তোলা এবং পিঠ সোজা রাখা আবশ্যক।যদি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে এবং প্রয়োজনে এমআরআই করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও সচেতনতার মাধ্যমে অফিসজীবনের এ বড় সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব, তাই নিজস্ব স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন।ভোরের আকাশ//হ.র