নির্দেশনা মানেননি পাইলট, ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে গেল সিলেটে
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নোটাম (নোটিশ টু এয়ারম্যান) না মানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি ফ্লাইট শেষ পর্যন্ত সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এই ঘটনায় জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার বিমানবন্দরের রানওয়ে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সে বিষয়ে যথাযথভাবে নোটাম জারি করা হয়। মদিনা থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটির পাইলটকে বিষয়টি জানানো হলেও তা উপেক্ষা করে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।ফলে নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও নোটাম উপেক্ষা করে ফ্লাইট পরিচালনার ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পাইলট বা ককপিট ক্রুদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বলেন, গন্তব্য বিমানবন্দরের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাথায় রেখে পাইলট যদি মদিনা থেকে রওনার সময় হিসাব করে সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
ঘটনার তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ সংলাপ শুরু হবে।কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে অসমাপ্ত আলোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনে এবার গুরুত্ব দেয়া হবে। আলোচনায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদের দ্বিকক্ষ কাঠামো, নারী প্রতিনিধিত্ব, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমতের বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।১৭, ১৮ ও ১৯ জুন তিন দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা চলবে। আলোচনা সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি-নিউজ।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমি বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং তা অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।এর ফলে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈদের ছুটির পর আবার আন্দোলনে ফিরেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের বাদামতলায় বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদের নতুন ভবনের নিচে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক মিছিল নিয়ে আসবেন। উপদেষ্টা দপ্তর, সচিবের দপ্তর এবং প্রশাসন শাখা থেকে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে আসবেন। দরকার হলে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে আসবেন। বলবেন- এখানে আয় ব্যাটা। বাদাম তলায় সকাল ১১টায় মিলিত হবেন।আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করলেন যে, আইন পাশ হওয়ার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। এমনভাবে মন্তব্য করলেন যে, আমি যদি থাকতাম এই আইন বাস্তবায়ন হতো না। চেয়ারে বসে বড় বড় কথা বলেন, উল্টাপাল্টা কথা বলেন। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। আপনাদের উদ্দেশ্য কী? ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ার পর গত ১০ মাসে আমাদের মাঝে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। তারও পরেও আমাদের মনে আগুন জ্বালানোর অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?সেলিম বলেন, আমরা মাস্তান নই। রাজপথে গলাফাটানোর লোক আমরা নই। আমাদের কেন অশান্ত করলেন? আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একদিনে ফ্যাসিস্ট হয় নাই। এই সরকারের ভেতরেও ফ্যাসিস্ট আছে, আমরা কিন্তু চিনি। শুধু এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই চেনে, ব্যাপারটি এমন নয়। আমরাও কিন্তু চিনি। আপনাদের মন-মানসিকতা আমরা বুঝি।কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে ৭ জুন। ঈদের আগে ৫ জুন থেকে পরবর্তী ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ছুটির পর রোববার প্রথম কর্ম দিবসে কর্মচারীরা কোনো আন্দোলনে ছিল না। তবে গতকাল সোমবার থেকে তারা আন্দোলনে নামে। উপদেষ্টা পরিষদ গেল ২২ মে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দেয়। এর প্রতিবাদে ২৪ মে সকাল থেকে দিনভর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আপত্তির মধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেখানে পুরনো আইনের সঙ্গে ‘৩৭ক’ নামের আরেকটি ধারা সংযোজন করা হয়। নতুন ধারায় একজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দুই দফায় সাত দিন করে নোটিসের পর, দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাখার বিধান রাখা হয়েছে।সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ খুবই পরিশীলিত এবং তারা খুবই আনুগত্য পরায়ণ। তাদের অহেতুক, অন্যায় ও নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ক্ষেপিয়ে তোলার ব্যবস্থা করছেন। আপানারা কোনো টালবাহানা না করে এই আইন প্রত্যাহার করুণ।ঐক্য ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস ইতোমধ্যেই আন্দোলনে নেমে গেছে। সরকার আমাদের সাথে সাপলুডু খেলা খেলতেছে। আমরা মহার্ঘ ভাতা, পদবি পরিবর্তন, সচিবালয় ভাতা চেয়েছিলাম। এর উত্তরে আসলো অভিন্ন নিয়োগবিধি। সেটা আমরা থামাইলাম। এরমাঝে আবার গোপনে গোপনে নিয়ে আসলো কালো অধ্যাদেশ। এই মুহূর্তে এই ধরনের অধ্যাদেশের অধিকার তাদের নেই। আমরা ধিক্কার জানাই। যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। এই সাপলুডুর খেলা বন্ধ করতে হবে। আন্দোলন চলার মধ্যেই ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধার’ ঘোষণা আসে। সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের ওপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে পরের দিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।এই ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রত্যাখ্যান করে নুরুল ইসলাম বলেন, বিশেষ সুবিধা ভাতার নামে একটা ফাঁকিবাজি ভাতা দিয়েছে সরকার। এটা বিশেষ সুবিধা নয়, এটা বিশেষ প্রতারণা। আমরা এই বিশেষ প্রতারণা মেনে নেব না। আমাদের কথায় গুরুত্ব না দিলে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ ডাকতে বাধ্য হবো। সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, সোহেল রানা, হাসনাত, গোলাম রব্বানি, বিপুল উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রিপরিষদ ভবনের নিচে মিছিল শেষে কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে স্মারক লিপি দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অধীনে এখন পর্যন্ত ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের মধ্যে ১১১ পুরুষ ও সাতজন নারী। সবশেষ ঈদুল আজহার পরদিন ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি ফেরত এসেছেন।সোমবার (১৬ জুন) পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। তাদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি। ফেরত পাঠানোর আগের বিভিন্ন স্তরের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়াও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা জানান, সর্বশেষ ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়। ওই ফ্লাইটে নেপালের একই ধরনের কিছু যাত্রী ছিলেন। বাংলাদেশি ৪২ জনের মধ্যে ১৬ জনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করার মতো কাগজপত্র ছিল না। ফলে তাদের গ্রহণ করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। পরে তাদের গ্রহণ করে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ।গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারত, ব্রাজিলসহ অনেক দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক মানবাধিকারকর্মী।ট্রাম্প প্রশাসন সে দেশে অবৈধ অভিবাসী এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে সামরিক বিমান বোঝাই করে পাঠানোর ঘটনা গণমাধ্যমে এলে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে। সর্বশেষ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু করলে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং কয়েক দিনে তা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।ভোরের আকাশ/জাআ