ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিলসহ ভোটের আগে-পরের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) রোববার (৭ ডিসেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ কমিশন বৈঠকে বসছে।
তফসিল ঘোষণার আগে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকটি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। এটি বর্তমান কমিশনের দশম বৈঠক।
বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ১০টি বিষয় রাখা হয়েছে— তফসিল, তফসিলের আগে ও পরের কার্যক্রম, গণভোট আয়োজন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি, মাঠ-পর্যায়ে সর্বোচ্চ যোগাযোগ ও সমন্বয়, মতবিনিময় এবং বিবিধ বিষয়।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জানান, রোববারের সভায় জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তফসিল চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দুই ভোটে কারা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন—তা প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইসি সূত্র জানায়, রোববারের বৈঠকে তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ভোটগ্রহণ সময়, ভোটকক্ষ ও গোপন কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি, বাজেট, মনোনয়নপত্র দাখিল-বাছাই-প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি ভোটের সার্বিক অগ্রগতি এবং পোস্টাল ব্যালট পেপার পরিবহনসংক্রান্ত সময়সূচিও নির্ধারণ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দুই ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকও শেষ হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরতে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার; এরপর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
যদিও এবার ব্যতিক্রম হিসেবে রাষ্ট্রপতির আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও ইসির সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে নৌকাসহ চারটি প্রতীক রাখা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। আগামীকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলসহ সকলের সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগামীকাল দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে নির্বাচন কমিশন।জানা যায়, এবার নির্বাচনে প্রতীকের তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটে ১১৫টি প্রতীক থাকবে। নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে নিবন্ধন বাতিল হওয়া ফ্রিডম পার্টি (কুড়াল), ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন (চাবি) ও পিডিপির (বাঘ) প্রতীকও থাকবে না পোস্টাল ব্যালটে। বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৫টি। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আরও দুটি রাজনৈতিক দল এ নিবন্ধনের তালিকায় যুক্ত হবে। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালে। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৫৯টি দল নিবন্ধন পেয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচির কথা জানানো হয়।এতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা একই দিনে সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মর্যাদা রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৮ খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ, জুলাই জাতীয় সনদ ছাড়াও ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ার সময় রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের দেয়া মতামত, দল ও জোটসমূহের সঙ্গে আলোচনার সারসংক্ষেপ, কমিশনের অন্যান্য নথিপত্র এবং কমিশনের করা জনমত জরিপের ফলাফল রয়েছে।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সরকারের সংস্কারবিষয়ক ওয়েবসাইটে (reform.gov.bd)। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাশাপাশি আগে ও পরে গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও একই ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শেষের দিকে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ওই দুই কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা চলে। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই চূড়ান্ত করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫, যা পরে ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অনুমোদিত হয়। ইতোমধ্যেই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আমলের সই করা একাধিক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়েছে। বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ১৩ ডিসেম্বর শনিবারের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শিহাব করিমকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আবুল কালামকে নৌ পুলিশ, র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাজহারুল হক ও মো. মিজানুর রহমানকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।অন্য এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে সিরাজগঞ্জ, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকারকে সুনামগঞ্জ, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমানকে ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনকে ঝিনাইদহ, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনকে সিলেট, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আমিনকে হবিগঞ্জ, খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির সিদ্দিকী শুভ্রকে খুলনা সদরে, নওগাঁ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলমাকে নওগাঁ ও রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান দীপুকে ফরিদপুর ভাঙ্গা সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।এছাড়া সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাৎকে খাগড়াছড়ি ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. সালাউদ্দিনকে খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ