চারুকলায় আগুনে পুড়লো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আয়োজকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুনে ফ্যাসিবাদ ও কবুতরের যে মোটিভ তৈরি করা হচ্ছিল সেগুলো পুড়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের প্রতীকটি পুরোপুরি পুড়ে গেলেও কবুতরের প্রতীকের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে।
দীর্ঘ পরিশ্রমে তৈরি প্রতিকৃতি পুড়ে যাওয়ায় চারুকলায় নেমে এসেছে হতাশা, তবে আয়োজন থেমে থাকবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আগুনের সূত্রপাত জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করার কার্যক্রম চলছে বলে জানা যায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।’তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।’সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।বিজ্ঞপ্তিতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের একজন নেতার থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশা করিনি। অবরোধের কারণে বিগত মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩০-৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের অফিসাররা ওয়াসা অফিসে বসে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়।তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশীজনদের থেকে আমরা আরো দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক সেলিম মিয়া বলেন, আমরা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ২০ থেকে ২৫ বছর বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছি। আজ আমরা অসহায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চের উত্তাল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রাণের দাবি সরকার মেনে নিয়েছিল।সরকারের পক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিব গত ১১ মার্চ তারিখে আমাদের ৭ জন নন-এমপিও শিক্ষক প্রতিনিধিকে সচিবালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে সুস্পষ্টভাবে এমপিওভুক্তির ঘোষণা প্রদান করেন এবং বলা হয় অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ক্যাবিনেট সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আলোচনা করে আগামী মে মাসের মধ্যে এমপিওর পরিপত্র জারি করা হবে। ফলে সর্বাধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আগামী জুলাই মাস থেকে বেতন ধরা হবে।তিনি আরও বলেন, কিন্তু পরে সরকারের প্রতিশ্রুত এমপিওভুক্তির কাজের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে আমরা নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ। সরকারের নিকট অবিলম্বে সব ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তকরণের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী ২১ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুনরায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গুমবিষয়ক একটি আইন আগামী এক মাসের মধ্যে হবে। এ আইনের অধীনে একটি শক্তিশালী গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে জাতিসংঘের বলপ্রয়োগে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুম সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।আইন করলে পরবর্তী সরকার আইনটি বাতিল করবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা যে সরকারই আসুক তারা সবাই গুমের শিকার। তারা সবাই সোচ্চার ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত সবচেয়ে বেশি শিকার ছিলেন।আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে তারা বারবার বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল। ১২ বছর আগে আসতে চেয়েছিল। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারাই (সরকারের লোকজন) গুমের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল বলে আমাদের বিশ্বাস। সেজন্য তারা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি, তাদের চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি।তিনি বলেন, আমাদের সরকারের একটা কমিটমেন্ট ছিল গুমের তদন্ত, গুমের বিচার। জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশে এসেছে, তাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে বসার পর তারা আমাদের কিছু কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। গুম কমিশনের, তদন্ত কমিশনের প্রশংসা করেছে, আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি সেটার প্রশংসা করেছে। গুমবিষয়ক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছে।আমরা এই জিনিসটা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করব। আমি এটাও বলেছি গুমবিষয়ক যে আইন করব সেখানে খুব শক্তিশালী একটা কমিশনের ইচ্ছা রাখি, সেটা জানিয়েছি। উনারা গুমের শিকার পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন, মিসিং পারসন সার্টিফিকেট দিতে বলেছেন, সেটা আমাদের আইনে রয়েছে। তারা একটা সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। আইনের বিষয়ে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতা দেবেন, জানান আইন উপদেষ্টা।সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এবং ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন হচ্ছে কি না– জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, এটা দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছিল এবং সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছিল। এই কমিশন শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও হয়েছে। কিন্তু অতটা সাকসেসফুল হয়নি।তিনি বলেন, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের চারটি অংশ থাকে। একটা হচ্ছে ট্রুথ সিকিং- আসলে কী হয়েছিল সেটা। সেটার কাজ অলরেডি শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যে রিপোর্টটা করল সেটা এটার একটা পার্ট। আমাদের ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে, সেটা ট্রুথ সিকিংয়ের একটা পার্ট। আমাদের মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাবেক গণভবনে যে জুলাই জাদুঘর করছেন, সেটা ট্রুথ সিকিংয়ের একটা পার্ট।তারপর একটা পার্ট হচ্ছে - মেমোরিয়ালাইজেশন, স্মৃতিটাকে ধরে রাখা। সেটা ফারুকীর জাদুঘরের মাধ্যমে নিশ্চয়ই করা হবে। আর তৃতীয় হচ্ছে অ্যামনেস্টি, এটা একটু কঠিন। এটা হচ্ছে যারা ছোট ছোট অপরাধে যুক্ত ছিলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো অপরাধে যুক্ত ছিলেন না, তাদের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাননেস্টের স্কোপ আছে কি না সেটা দেখা। সব দেশেই এটা করা হয়। চতুর্থ ধাপ হচ্ছে রিকনসিলিয়েশন। চরম যারা দোষী আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের একটা জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা। আরেকটি হচ্ছে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া। ক্ষতিপূরণ শুধু টাকার অঙ্কে না। হয়ত ধরুণ, জুলাই অবস্থানে যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা, যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।আসিফ নজরুল বলেন, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক মিটিং করেছিলাম। আমাদের দ্বিতীয় ধাপে চিন্তা আছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে রিজোনাল কনফারেন্স করব। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকার যারা আছে তাদের আনব। আমাদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, মানবাধিকার গ্রুপ আছে, ছাত্ররা আছে- সবার মতামত নিয়ে কি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃতব্য স্থাপনাসমুহ সংস্কার/মেরামত সংক্রান্ত অগ্রগতির তথ্য দিতে চার সচিব ও দুই সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীকে জরুরি চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান।চিঠিতে জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটোখাট মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্র পাঠানো হয়েছে।এই অবস্থায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃতব্য স্থাপনাসমূহের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্যাদি বিশেষ প্রয়োজন। উক্ত তথ্যাদি সংগ্রহপূর্বক আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হলো।যেসব সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীদের ইসি চিঠি দিয়েছে তারা হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী।ভোরের আকাশ/এসএইচ