ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপির দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। সবশেষ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন আমাদের দলের নেতারা। গতকাল রোববার বিকেলে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
তারেক রহমান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কম বা বেশি সংস্কার বলে কিছু নেই। এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে অন্ধকারে রেখে এবং রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে কোনো পরিকল্পনা টেকসই হতে পারে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ থেমে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন দাবিতে মানুষ মাঠে নামছে, কিন্তু তাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই।
তারেক রহমান আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দেখা করে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
বিএনপির দাবি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের লক্ষ্য জনপ্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। এই লক্ষ্য আমরা যারা রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, তারা সমর্থন অব্যাহত রেখেছি।
সুতরাং দেশ-বিদেশে সম্মানিত দক্ষ যোগ্য ব্যক্তি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের নেতৃত্বে জনগণ দেশের ইতিহাসে একটি অবাধ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন দেখতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি প্রদান এবং এর ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে অনিবার্য কারণে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত হওয়া কর্মসূচি আগামী বুধবার (১৩ আগস্ট) একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিজয়নগরের পানির ট্যাংক এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল।এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের সম্ভাবনা এবং দলীয় কর্মসূচি— যেমন জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ ও জুলাই পদযাত্রা— নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষ জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও গঠনমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ কালবেলাকে জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এনসিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। আলোচনায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সংস্কার, রাজনৈতিক ইশতেহার এবং আগামী নির্বাচন ছিল মূল বিষয়। এর আগে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।অন্যদিকে, সম্প্রতি এনসিপি নেতারা বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। যদিও সোমবার এ বিষয়ে হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, সাক্ষাৎটি কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন ছিল প্রধান বিষয়। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে তারা এনসিপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারসহ এনসিপির নীতিগত অগ্রাধিকার নিয়ে মতবিনিময় করেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র আগামী ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে বিতরণ শুরু হবে। মনোনয়নপত্রের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।সোমবার চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসুর মনোনয়নপত্র ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় চিফ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রার্থীকে সশরীরে সংগ্রহ করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা।একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।ডাকসু ও হল সংসদ আচরণবিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো ধরনের মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে ফরম সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।এবার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি পদ এবং হল সংসদে ১৩টি মোট ৪১টি পদ থাকবে।নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বাম ৮টি সংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক প্যানেলসহ উমামা ফাতেমা একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।ভোরের আকাশ/জাআ
‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি প্রদান এবং এ সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টায় রাজধানীর বিজয়নগরের পানির ট্যাংক এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছিল জামায়াত।এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতারা বক্তব্য রাখবেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সে লক্ষ্যে এ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য নেতাকর্মী ও নগরবাসীর প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে দলটি।তবে সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত জানায়, অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আগামীকাল ১২ আগস্টের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আগামী ১৩ আগস্ট বুধবার একই সময়ে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ দেশে ঘটে যাওয়া পিলখানয় বিডিআর হত্যাকাণ্ড, মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা ও ২০১৮’র কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ইতিহাস অন্তর্ভূক্তকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কারী বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন এ অন্তর্ভূক্তের দাবি জানায়।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান ঘোষণাপত্র দেশনির্মাণ ও গণ-সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলেও তাতে জাতীয় স্মৃতি ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থীভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার অধ্যায় উপেক্ষিত হয়েছে।বক্তারা বলেন, আমাদের দাবিকৃত অন্তর্ভুক্তির তালিকায় রয়েছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও তার মানবিক বিপর্যয়, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড যা বক্তাদের মতে একটি পরিকল্পিত গণহত্যা, ২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যা যেখানে রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নৃশংস অভিযান চালানো হয়, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ন্যায়ের লড়াই ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ঘটনা এবং একই বছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কিশোর আন্দোলনকারীদের ওপর চালানো দমন-পীড়ন।বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘোষণাপত্র অতীত সংগ্রাম ও শহীদদের স্মৃতিচারণ করলেও এই পাঁচটি ঐতিহাসিক অধ্যায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া এতে ভবিষ্যতের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নেই। নেই নির্বাচনের সময়সূচি, আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাব, প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনা কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার সীমা ও জবাবদিহিতা সংক্রান্ত স্পষ্ট নির্দেশনা।বক্তারা সতর্ক করে বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে পূর্ণাঙ্গ ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এই পাঁচটি ঘটনাকে গণ-সংগ্রামের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায়, এটি জনগণের নয়, শাসকের দলিল হয়ে থাকবে। সত্য উন্মোচন, ইতিহাস সংরক্ষণ এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি দীপ্ত, বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের জালিস মাহমুদ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ