ছবি : সংগৃহীত
অভিবাসীদের আশ্রয় সংক্রান্ত আবেদনের কার্যক্রম বন্ধ ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে স্থায়ীভাবে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিজ’ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার দিকে কাজ করছে। দেশের অভিবাসন ব্যবস্থা ‘সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার’ করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা বার্তায় ট্রাম্প জানান, তিনি অ–নাগরিকদের জন্য সব ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন। এ ছাড়া দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে এমন অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে এবং যে কোনো বিদেশিকে ‘জন বোঝা’, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ হন তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের কাছে হামলায় গুলিবিদ্ধ এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের বৃহস্পতিবার মৃত্যু হওয়ার পর এ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তদন্তে বলা হয়েছে, একজন আফগান নাগরিক এ হামলা চালিয়েছেন।
এদিকে ১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের নথি পুনরায় পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনায় ‘উদ্বেগজনক’ দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউএসসিআইএস পরিচালক জো এডলো বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে উদ্বেগজনক প্রতিটি দেশের প্রত্যেক বিদেশির গ্রিন কার্ডের ব্যাপক ও কঠোর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছি।
তালিকায় যে ১৯ দেশ
ইউএসসিআইএস সিএনএনকে জানায়, জুন মাসে প্রকাশিত প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় তালিকাভুক্ত ১৯টি দেশই পুনর্মূল্যায়নের আওতায় পড়বে। দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
হোয়াইট হাউস চলতি বছরের জুন মাসে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এ সময় বলা হয়, নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভিসা ওভারস্টে রেট এবং বিদেশি নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসবাদ ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি’ এ তালিকার প্রধান কারণ।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।জাকার্তার পুলিশপ্রধান সুস্যাত্যো পুরনোমো কন্দ্রো সাংবাদিকদের বলেছেন, ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ভেতরে আরও কেউ আটকা পড়েছেন কি না; তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেছেন, দুপুরের দিকে ভবনের প্রথম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা পরবর্তীতে ওপরের বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় কিছু কর্মী ভবনের ভেতরে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন এবং অন্যরা অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কন্দ্রো। তিনি বলেছেন, আমরা বর্তমানে উদ্ধারকাজ পরিচালনা এবং আগুন নেভানোর পর ভবনের তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করছি।ওই ভবনে দেশটির টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়া নামে একটি কোম্পানির কার্যালয় রয়েছে। দেশটির খনিজ ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতের গ্রাহকদের জন্য আকাশপথে জরিপে ব্যবহৃত ড্রোন সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি।কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি জাপানের ড্রোন নির্মাতা টেরা ড্রোন করপোরেশনের (২৭৮এডটটি) ইন্দোনেশীয় শাখা।ইন্দোনেশিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম কম্পাস টিভির ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় এক ডজন দমকলকর্মী ভবন থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এ সময় উদ্ধারকারীদের লাশের ব্যাগ বহন করে নিচে নামাতেও দেখা যায়।এছাড়া কয়েকজন কর্মীকে বহনযোগ্য মই ব্যবহার করে ওপরের তলা থেকে নেমে আসতে দেখা যায়। তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানানো হলেও ওই দুই প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।ভোরের আকাশ/তা.কা
এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ছুড়ে ফেলা হয় খালে। আর সে অভিযোগে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হয় ওই কিশেরারীর বাবাকে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। তখন সবাই ধরে নিয়েছিলে, পানিতে ডুবে হতভাগ্য কিশোরীর হয়তো সলিল সমাধি হয়েছে।কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই মাস পরে হঠাৎ করেই ফিরলেন সেই ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। শুধু বেঁচেই ফেরেননি, তিনি সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে দাবি করেন—-অভিযুক্ত বাবা নির্দোষ, বরং আসল দোষী তার মা।বাবাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। জানা যায়, ৩ অক্টোবর মেয়ের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় সুরজিৎ সিংহ নামের এক ব্যক্তি রাজস্থানের একটি খালে তার মেয়েকে হাত বেঁধে ফেলে দেন।এমন অভিযোগের পর, পুরো ঘটনার ভিডিও তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কিশোরীর দেহ বা কোনো খোঁজ না মেলায় পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন আলোচিত সেই কিশোরী।যেখানে তিনি দাবি করেন, তার মা-ই বাবাকে প্ররোচনা দিয়েছিলেন এমন কাজ করতে। এর জেরেই বাবা তাকে খালে ফেলে দেন। খাল থেকে কীভাবে সে ফিরে এলো বা গত দুই মাস কোথায় ছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও কিশোরীর দাবি ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুর এলাকার।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরোনো ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করবে এবং কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্য-জুনে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে পাল্টা হামলায় মোসাদের এক স্থাপনায় ৩৬ জন নিহত হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইরান। রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি-মোহাম্মদ নায়িনি।নায়িনি জানান, যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইসরায়েল তেহরানের একটি জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালায়। এর পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দুই ধাপে হাইফার তেল শোধনাগারে হামলা করে। তার ভাষায়, এটি ছিল "ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মাস্টারপিস", যার ফলে শোধনাগার কার্যত অচল হয়ে যায়।পরে ইসরায়েল ইরানের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র টার্গেট করলে, ইরান মোসাদের একটি স্থাপনায় প্রতিহামলা চালায়। সেই হামলাতেই ৩৬ জন নিহত হয় বলে দাবি আইআরজিসির।আইআরজিসির মুখপাত্র বলেন, পুরো যুদ্ধজুড়ে ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ নামে একটি বহুমাত্রিক অপারেশন সক্রিয় ছিল, যেখানে সাইবার আক্রমণ, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়। তিনি দাবি করেন, ইরান শুরু থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক প্রস্তুতিতে সম্পূর্ণ সক্ষম ছিল।নায়িনি আরও জানান, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলো তাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এমনকি একটি ৩২ তলা ভবনের নিচের তলাকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালায়, যা দখলকৃত ফিলিস্তিনের একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ডেটা সেন্টার ছিল।তার দাবি, ইসরায়েল মার্কিন সহায়তা ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্য নিয়েও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পুরোপুরি প্রতিহত করতে পারেনি।ভোরের আকাশ/তা.কা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে ফের উস্কে উঠেছে সংঘাত।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের সেনারা কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়।থাইল্যান্ডের দাবি, হামলার আগে কম্বোডিয়ার সেনারা তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যার ফলে একজন থাই সৈন্য নিহত ও চারজন আহত হন।এক বিবৃতিতে থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫মিনিটে সি সা কেত প্রদেশের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কম্বোডীয় সেনবাহিনী। এতে দু’জন থাই সেনা আহত হন। এ ঘটনার পর পাল্টা জবাব দেয় থাই সেনবাহিনীও। স্থানীয় সময় ২টা ৫০ পর্যন্ত স্থায়ী হয় সংঘাত।বিবৃতে থাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহত দুই সেনার একজনের পায়ে গুলি লেগেছে, অপরজন বুকে আঘাত পেয়েছেন। সংঘাত থামার পরপরই কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী চার থাই প্রদেশ বুরি রাম, সুরিন, সি সা কেত এবং উবন রাতচাথানি থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে থাইল্যান্ডের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী।রোববার জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল থাইল্যান্ড। সেখানে বলা হয়েছিল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় থাই ভূখণ্ডে গোপনে বড় এলাকা জুড়ে ল্যান্ডমাইন পেতেছে কম্বোডিয়া। এসব ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। জাতিসংঘকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল থাই সরকার।থাইল্যান্ড এ অভিযোগ জানানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সি সা কেত প্রদেশ সংঘাত শুরু হয় দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে।সীমান্ত নিয়ে বিবাদের জেরে দীর্ঘ ১৫ বছরের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত জুলাই মাসে সংঘাতে জড়িয়েছিল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া।৫ দিন ধরে চলা সেই সংঘাতে নিহত হয়েছিলেন দু’দেশের ৩২ জন নাগরিক এবং আহত হয়েছিলেন আরও কমপক্ষে ৩০ জন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে।সূত্র : ব্যাংকক পোস্ট, রয়টার্সভোরের আকাশ/মো.আ.