সংগৃহীত ছবি
ভারতের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও দেশটির সাবেক এমপি প্রজ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি এবং গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই শাস্তি দেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি আদালত।
শনিবার (২ আগস্ট) বিচারক সন্তোষ গজানন ভাটের সভাপতিত্বে গঠিত এমপি-এমএলএ’দের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত এই রায় দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। ভুক্তভোগী নারী প্রজ্বলের পরিবারের মালিকানাধীন একটি ফার্ম হাউস বা অবকাশযাপন কেন্দ্রে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।
২০২৪ সালে কর্ণাটকের হাসান জেলায় প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলা হয়। বাকি তিনটি মামলার বিচারও চলমান।
সাজা ঘোষণার আগে প্রজ্বল কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার একটি পরিবার আছে, আমি ছয় মাস ধরে আমার মা এবং বাবাকে দেখিনি। দয়া করে আমাকে কম শাস্তি দিন, এটাই আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করছি। তবে তার আবেদনে কর্ণপাত করেনি বিচারক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে সেখানকার পুরোনো শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউও জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্ত্সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেবরনের পুরোনো শহর এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ জারি করে রেখেছে এবং অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পালনের সুযোগ করে দিতে ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বলে স্থানীয় কর্মীরা শনিবার জানিয়েছেন।হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা আরেফ জাবের আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই কারফিউ জারি রয়েছে।তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে প্রবেশের সামরিক চেকপয়েন্টগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে এবং যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।এর ফলে অনেক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিজ ঘরেও ফিরতে পারেননি এবং হেবরনের অন্য এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।জাবের জানান, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল— দুই দফায় শত শত অবৈধ বসতকারী ভারী সামরিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুরোনো শহরে ঢুকে রাস্তায় “উসকানিমূলক” শোভাযাত্রা করেছে।তিনি বলেন, এই কারফিউ আসলে ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ পুরোপুরি দখলে নেওয়ার এবং সেটি সিনাগগে রূপান্তরের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার অংশ।ফিলিস্তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের শুরু থেকে প্রতিদিন ইব্রাহিমি মসজিদের সুক গেট বন্ধ রাখছে এবং পূর্ব দিকের প্রধান গেটও বন্ধ করে রেখেছে। এমনকি জানালাগুলোও ঢেকে দিয়েছে। ইব্রাহিমি মসজিদ হেবরনের পুরোনো শহরে অবস্থিত এবং এটি এখন পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে। এখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতকারী থাকে এবং তাদের পাহারা দেয় প্রায় ১৫০০ ইসরায়েলি সেনা।১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতকারীর হাতে ২৯ জন ফিলিস্তিনি মুসল্লি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটিকে দুই ভাগে ভাগ করে। এই মসজিদের ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য। ইহুদিদের বরাদ্দ অংশে মসজিদের আজান দেওয়ার ঘরটিও রয়েছে।এছাড়া ইসরায়েলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসবের সময় মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০ দিনের ইসলামি উৎসবের সময় ইহুদিদের জন্যও মসজিদটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত পূর্ণ প্রবেশাধিকার আর বহাল রাখা হয়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্ব বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় মূল্য হ্রাস পেয়েছে, পুরো সপ্তাহজুড়ে ধাতুটির দামে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে। দুর্বল ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর জল্পনা বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলছে। ফেডের (ফেডারেল রিজার্ভ ) কড়াকড়ি মন্তব্য থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা ডিসেম্বরেই সুদহার কমতে পারে বলে আশা দেখছেন।শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) লন্ডন সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটে স্পট সোনার দাম দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৪,১৮৩.৩১ ডলারে। এতে সাময়িক কমতি দেখা দিলেও সাপ্তাহিক হিসাবে দাম বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ। ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন ফিউচার সোনাও ০.২ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে প্রতি আউন্স ৪,১৮৫.৯০ ডলারে। এদিকে ডলার সূচক টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে পতনের মুখে, যা অন্যান্য মুদ্রায় সোনা কেনাকে আরও সহজ করেছে।গোল্ডসিলভার সেন্ট্রালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রায়ান ল্যান জানান, ডলারের দুর্বলতা এবং জল্পনামূলক বিনিয়োগই এই সপ্তাহে সোনাবাজারকে শক্তিশালী করেছে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, ফেড শিগগিরই সুদহার কমানোর পথে যেতে পারে।দেশের বাজারেও সোনার দাম নতুনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায়। এর আগে বৃহস্পতিবার বাজুস প্রতি ভরিতে ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়ায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তিন দেশের চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বামপন্থি সহিংসতার আন্তর্জাতিক ঢেউ মোকাবিলার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিতে চলেছে।শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে জার্মানির ইন্তেফা ওস্ট, ইতালিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রেভল্যুশনারি ফ্রন্ট, এবং গ্রিসের দুটি সংগঠন আর্মড প্রোলেটারিয়ান জাস্টিস ও রেভল্যুশনারি ক্লাস সেলফ ডিফেন্স যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে রয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলো পশ্চিমা সভ্যতার ভিত্তি দুর্বল করার জন্য নৃশংস হামলা চালাচ্ছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘোষণার ফলে মার্কিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর নজরদারি, আর্থিক পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর যেসব ব্যক্তি এসব গোষ্ঠীর সহানুভূতিশীল বা সমর্থক বলে বিবেচিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নজরদারি চালানো সম্ভব হবে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এসব গোষ্ঠী বিপ্লবী অরাজকতাবাদী বা মার্কসবাদী মতাদর্শ অনুসরণ করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-আমেরিকানিজম, অ্যান্টি-ক্যাপিটালিজম এবং অ্যান্টি-খ্রিস্টানিটি রয়েছে। এগুলোদেশের ভেতরে ও বাইরে সহিংস আক্রমণ উসকে দিতে ব্যবহৃত হয়। এই ঘোষণার পর মার্কিন নাগরিকদের জন্য এসব সংগঠন বা তাদের সদস্যদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বেআইনি হবে।নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্তেফা কোনো পূর্ণাঙ্গ সংগঠন নয়—এর কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সদস্যপদ বা কাঠামো নেই। গ্রিসের পিরেয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক মেরি বোসিস বলেন, অ্যান্টিফাসিস্ট কর্মীদের সঙ্গে সহিংস উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মিল খোঁজা ‘সম্পূর্ণ ভুল’।তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, গ্রিসে ইন্তেফা আন্দোলন কখনোই সন্ত্রাসী কৌশল ব্যবহার করেনি। তারা এমনকি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের সহিংসতার প্রমাণ নেই। ইউরোপের ইন্তেফা কর্মীদের অনলাইন বার্তাগুলোতে সেই ধরনের সহিংস ভাষা দেখা যায় না, যা ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়।তিনি বলেন, মার্কিন রাজনীতিতে এই অতিরিক্ত রক্ষণশীলতা অত্যন্ত দুঃখজনক। মনে হচ্ছে বিশ্বের মানুষকে ‘ভালো ডানপন্থি’ ও ‘খারাপ বামপন্থিতে’ ভাগ করার জন্য এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে। এটি একমাত্র তখনই অর্থবহ হবে যখন কেউ মাঝারি-বাম বা প্রগতিশীলদের নাম কালিমালিপ্ত করতে চায়, যদিও তারা কখনো সহিংসতার পক্ষে নয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।ফলে শীত আসার আগেই তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েছেন লাখো মানুষ। আর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় যুদ্ধবিরতিও কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, শেল্টার ক্লাস্টার নামে একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এই হিসাব পাওয়া গেছে। সংস্থাটি ইউএনআরডব্লিউএ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ এসব তথ্য জানায়।ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানায়, শীত আসার আগে থেকেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছে। তারা অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গায় গাদাগাদি অবস্থায় থাকছে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সমস্যার মুখে পড়ার পাশাপাশি মৌলিক নানা বিষয়ও নিশ্চিত করতে লড়তে হচ্ছে তাদের।প্রসঙ্গত, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল প্রতিদিনই এই সমঝোতা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। যার ফলে শত শত ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন এবং খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী গাজার ভেতরে প্রবেশেও বাধা তৈরি হচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। লাগাতার ধ্বংসযজ্ঞে গাজা উপত্যকা এখন বাসযোগ্যতাই হারিয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.