গর্ভে ধারণ না করেও যিনি হয়েছেন ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৪৬টি শিশুর মা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহায়তায় চলে যার বিশাল পরিবার। এই পরিবারে আশ্রয় পায় পিতৃ পরিচয়হীন যৌনকর্মীদের সন্তানেরা। এ ছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল পথশিশুরাও মিলেমিশে থাকে সেথায়। এসব শিশুর মায়ের পরিচয় থাকলেও বাবার পরিচয় নেই। তাই ওরা পিতৃ পরিচয়হীন। সেই শিশুদের ‘মা’ হলো ‘শিশুদের জন্য আমরা’ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হাজেরা বেগম।
বলছি ‘শিশুদের জন্য আমরা’ পরিবারের উদ্যোগে রাজধানীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানের কথা।
গত শনিবার রাজধানীর আদাবরের সুনিবির হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত ‘শিশুদের জন্য আমরা’ প্রতিষ্ঠানটিতে এই বিশেষ ক্যাম্পেইনে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে একরাশ ভালোবাসা নিয়ে হাজির হন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন। তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে সময় কাটিয়েছেন নিষ্পাপ শিশুদের সঙ্গে। যৌনকর্মী, নারী শ্রমিকসহ আরো অনেক মাকে সচেতন করেছেন। এখানে আশ্রয় পাওয়া কিশোরীদের সচেতন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে।
উপপুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন ও তার টিম ঘুরে দেখেছেন শিশুদের যাপিত জীবন। সবার জন্য উন্নতমানের খাবার বিতরণের মাধ্যমে শেষ করেন একটি অন্যরকম দিন। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের নির্ভরতার প্রতীক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন এই সেবায় নিয়োজিত থাকে।
‘শিশুদের জন্য আমরা’ অনন্য ভালোবাসায় গড়ে ওঠা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবার। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত এ পরিবারের কর্ণধার হাজেরা বেগম। যিনি বর্তমানে ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৪৬টি শিশুর মা। বিশেষত যৌনকর্মীদের বাচ্চারা এখানে আশ্রয় পেয়ে থাকে। অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও একসঙ্গে মিলেমিশে আছে এখানে। মূলত এই শিশুদের মায়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহযোগী এনজিও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং মেরি স্টোপসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য