-->
মাহে রমজানের ইবাদত

আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হবে

বিল্লাল বিন কাশেম
আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হবে
প্রতীকী ছবি

রোজার মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হয়। এই সময় দোয়া করতে হয়, ‘হে আল্লাহ! আপনার প্রতি যারা ভরসা করেছেন আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করুন। সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে আপনার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নিন। হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য।’

১০ রমজান রহমতের শেষ দিন। আল্লাহর ওপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাসই এ দিনে রহমত লাভে সহায়ক হতে পারে। সে কারণেই আল্লাহর রহমত লাভে তার করুণা লাভের তারই প্রতি ভরসা করা জরুরি। তাইতো সফলতা ও নৈকট্য লাভে তার দরবারে ধরনা দিতে বার বার পড়তে হবে, ‘আল্লাহুম্মা ওয়াঝআলনি ফিহি মিনাল মুতাওয়াক্কিলিনা আলাইকা; ওয়াঝআলনি ফিহি মিনাল ফায়িযিনা লাদাইকা; ওয়াঝআলনি ফিহি মিনাল মুক্বাররাবিনা ইলাইকা; বিইহসানিকা ইয়া গায়াতিত ত্বালিবিন।’

রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি যে, আল্লাহ খারাপ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এরপরও যদি মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে না পারে, মন্দ কাজের প্রভাবমুক্ত হয়ে ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, তবে এর চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে? আল্লাহর গুণ হলো তার ৯৯টি গুণবাচক নাম।

এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে এসেছে : নিশ্চয়ই আল্লাহতাআলার ৯৯টি নাম রয়েছে, যারা এগুলো আত্মস্থ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ও তিরমিজি)। মহান আল্লাহর নামাবলি আত্মস্থ করার বা ধারণ করার অর্থ হলো সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করা এবং সেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য নিজের কাজে-কর্মে-আচরণে প্রকাশ করা তথা নিজেকে সেসব গুণের আধার বা অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা।

রমজান মাসের প্রথম দশক যেহেতু রহমতের বা দয়ার; সুতরাং এই ১০ দিন আমাদের করণীয় হবে আল্লাহপাকের দয়ামায়া-সংক্রান্ত নামগুলোর জ্ঞান হৃদয়ঙ্গম করে এর ভাব ও বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অধিকার করে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করার চেষ্টা করা এবং আজীবন তার ধারক-বাহক হয়ে তা দান করা বা বিতরণ করা তথা আল্লাহর গুণাবলি নিজের মাধ্যমে তার সৃষ্টির কাছে পৌঁছে দেওয়া। আল্লাহতাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার ওপর ভরসা করার এবং তার রহমত ও নৈকট্য লাভ করার তৌফিক এনায়েত করুন।

লেখক: উপ-পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। [email protected]

মন্তব্য

Beta version