হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় তার বাসায় ফিরতে সময় লাগবে। আরও কিছুদিন হাসপাতালে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারসহ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তার সবচেয়ে বড় সমস্যা ‘শারীরিক রক্তক্ষরণ’ গত ১৫ দিন ধরে বন্ধ আছে। এছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় বলা যায়, তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ তা বলা যাবে না। আবার দেশে তার সব চিকিৎসা শেষ হয়ে গেছে তাও নয়।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ আছেন। এখনো তিনি হাসপাতালে ভর্তি। উনার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা প্রতিদিন একবার করে বসেন। তাকে দেখেন, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেন।’
তিনি আরও বলেন, ম্যাডামকে দেশের বাইরে নিয়ে যত দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে, ততই তার জন্য মঙ্গল। দেশে যে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব তা দেওয়া হয়েছে। তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এখন কেউ যেতে না দিলে আমাদের কিছুই করার নেই।’
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, দেশে করোনা বাড়ার কারণে ডাক্তাররা হাসপাতালে যেতে নিষেধ করেছেন। এছাড়া হাসপাতালে অনেক করোনা রোগী থাকায় তাকে (খালেদা) কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি তো হাসপাতালে থাকতে চান না। কিন্তু চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করে বাসায় আনলে তো আবারও হাসপাতালে নিতে হয়। বারেবারে নেওয়া-আনা খুব অসুবিধা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামকে বাসায় নিয়ে আসার বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ওইদিন তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়। দীর্ঘদিন সিসিইউতে থাকার পর গত ৮ জানুয়ারি তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য