নির্বাচন কমিশন গঠনে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করবে আওয়ামী লীগ। তবে এর আগে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে এজন্য নির্ধারিত কমিটি বদ্ধ খামে সম্ভাব্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করেছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র দাবি করেছে, দলীয় নেতারা সভাপতির কাছে যে নামগুলো প্রস্তাব করেছেন তার মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে সিইসি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন অনেকেই। তার নামটিই রয়েছে নেতাদের পছন্দের শীর্ষে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে নেতারা এই নামগুলো জমা দেন।
ওই বৈঠকে ছিলেন এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা বদ্ধ খামে করে পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দলীয় সভাপতির কাছে জমা দিয়েছেন। প্রত্যেকে পাঁচটি করে নাম লিখেছেন। তবে নাম চূড়ান্ত করার ভার দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই অর্পণ করেছেন তারা। পরবর্তীতে তারা নিজেদের আলোচনায় জানতে পেরেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম সিইসি হিসেবে জমা দিয়েছেন অনেকেই। তবে কার নাম চূড়ান্ত হবে সেটি নির্ভর করছে দলীয় সভাপতির ওপর।
সূত্রটি জানায়, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই আওয়ামী লীগ এককভাবে নামের তালিকা পাঠাবে বলে এর আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজকের মধ্যে সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সার্চ কমিটিতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে পাঠাবে আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠানো হবে।
তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে বৃহস্পতিবার রাতের বদলে শুক্রবার সার্চ কমিটির কাছে নাম জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবারের সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে জানান, আওয়ামী লীগ নেতাদের পছন্দের তালিকায় এসেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক আইনসচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক দুই প্রধান বিচারপতি এবং কয়েকজন অধ্যাপকের নাম। প্রসঙ্গত সিইসি পদে শাসকদলে আলোচিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বর্তমানে বিশ্বব্যাংকে বিকল্প নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বছরের নভেম্বরে তার দায়িত্ব শেষ হবে। তবে রাষ্ট্রীয় নতুন দায়িত্বের জন্য বিবেচিত হলে আইনি কাঠামোতে তিনি বিশ্বব্যাংকের পদ ত্যাগ করে যোগ দিতে পারবেন।
মন্তব্য