মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে। অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ত্রিশ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন উল্লেখ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা আজ শপথ নিচ্ছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, ঢাকা-২০ এর সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমসহ বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ। বাসস
মন্তব্য