নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইন করে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি। এই কমিটি এরইমধ্যে রাজনৈতিকদল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য কমিশনের জন্য ৩২২ জন ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এই তালিকা সংক্ষিপ্ত করে রাষ্ট্রপতির হাতে জমা দেওয়ার আগেই সম্ভাব্য কমিশনকে আগাম প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির দলীয় এই মনোভাব জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে তারা সার্চ কমিটিকেই ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে তাদের কাছে ইসির জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের নাম জমা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আজও সার্চ কমিটি অবৈধ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি মন্তব্য করেন,‘বর্তমান সার্চ কমিটি বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার চেয়েও বড় কোনো বেহুদাকে দিয়ে ইসি গঠন করবে, যাকে দিয়ে নির্বাচনের নামে আরেকটি বড় নাটক করবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ বিষয়ে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রিজভী।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই যে সার্চ কমিটি যে সার্চ করছে, সেখানে স্বেচ্ছায় লোকজন মিছিল করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার জন্য। এতে দেশের গণতন্ত্রের কী হবে, ভোটের কী হবে, সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারি। এই সার্চ কমিটি হুদা কমিশনের চাইতেও বড় কোনো বেহুদা কমিশন বানানোর চেষ্টা করছে। আরও কোনো এক বেহুদাকে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এই সার্চ কমিটি যে কমিশন করতে যাচ্ছে, তাদের আমরা আগাম প্রত্যাখ্যান করছি।’
বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের লাশ শুকিয়ে গেছে। এখন ওই লাশ কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। এরপর এই কঙ্কালের হাড়গোড় মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।’ সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এই সরকার, যার আত্মা পাপে পূর্ণ, তারা ভালো কথা শুনবে না। তারা প্রয়োজনে অনেককে মেরে ফেলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইবে। তারা মনে করছে আর কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। তাই তারা অপকর্ম করেই যাচ্ছে।’
মন্তব্য