-->

কোর্ট হাজতে ইশরাক, জামিনের আবেদন

আদালত প্রতিবেদক
কোর্ট হাজতে ইশরাক, জামিনের আবেদন
ইশরাক হোসেন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে আদালতে আনা হয়েছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আদালতে আনা হয় তাকে। এরপর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতে রাখা হয়।

ইশরাকের পক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী পক্ষে জামিন আবেদন করেন। দুপুর ২টার পরে ঢাকার মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে। এর আগে, বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোর্ট হাজতখানায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইশরাকের সাথে কে-কার আগে সাক্ষৎ করবে এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আদালত পাড়ায় অর্ধশতাধিক নিরাপত্তারকর্মী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই মামলা করে পুলিশ। এরপর ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি।

তবে এরপর জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই পরোয়ানা অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শ্রমিকদলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

বিএনপির প্রয়াত নেতা অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক নম্বর সদস্য। ২০২০ সালে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হেরে যান।

মন্তব্য

Beta version