বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র সহ-সভাপতি-রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। শ্রাবণ পুরনো কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন এবং পুরনো কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন জুয়েল।
এছাড়া কমিটিতে ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতবিনিময় হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে নিম্নলিখিত নতুন আংশিক কমিটি মনোনীত করেছেন।
কমিটির ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৩-০৪ সেশনে বাংলা বিভাগ ও হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি যশোর। শ্রাবণ পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সকলের ছোট। তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। শ্রাবণ বাদে পরিবারের অন্য সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তার বাবা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। মেঝ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আরেক ভাই কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। শ্রাবণ দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্রদলের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।
অন্যদিকে সাইফ মাহমুদ জুয়েল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০০৫-০৬ সেশনের ও স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি বরিশাল।
মন্তব্য