দলের প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদকে কর্তৃত্ববাদী অভিহিত করে এলডিপি থেকে ২১৮ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন পদত্যাগী নেতারা।
এদিকে, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ দল থেকে পদত্যাগ কারীদের দুস্কৃতিকারী উল্লেখ করে বলেছেন- তাদের দলত্যাগে দল পবিত্র হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পদত্যাগকারী নেতাদের পক্ষে দলের সহ-সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দীন টিটো গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
এতে ২৪ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পদত্যাগকারী হচ্ছেন- ফরিদ আমিন, তমিজ উদ্দিন টিটু, মো. ইব্রাহিম রওনক, এ এস এম মহিউদ্দিন, ড. আফজাল হোসেন মোর্শেদ, শফিউল বারী রাজু, লস্কর হারুনুর রশিদ, আফজাল হোসেন মন্ডল, অ্যাডভোকেট ইমরান, সাইফুল ইসলাম বাবু, মোহাম্মদ ফয়সাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন পাঠান বিপ্লব, কাজী কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আল সানি, হারুন অর রশিদ, ইউনুস বেপারী, রেজওয়ানুল ইফতেখার, মাওলানা বদরুদ্দোজা, আবদুল হাই নোমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, রাশেদুল হক।
অলি আহমদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বলা হয়, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার সংগ্রাম করছে।
এ সময়েও অলি আহমদ এলডিপিকে একটি ‘রহস্যজনক রাজনৈতিক’ দল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
অলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী ও অহঙ্কারী।
২০২০ সালে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন দল থেকে বেরিয়ে এসে একই নামে নতুন দল গঠন করেন আব্দুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
এদিকে, এলডিপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে- তাদের দলত্যাগ করায় দল পবিত্র হয়েছে।
পদত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে এলডিপির প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করে পদ বিক্রি করে আসছে।
তা ছাড়া এরা অনেকেই গত দুই বছর যাবত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন না।
মন্তব্য