জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা আর বেশি দূরে নয়। যেকোনো সময় সেটা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান। ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন-সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এই সরকার পদত্যাগ করলেই শুধু হবে না, জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে। সংসদ বহাল রেখেই কিভাবে আরেকটি সংসদ নির্বাচন হয়?
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য বাধা হলো শেখ হাসিনা ও তার সরকার। আমরা তার অধীনে নির্বাচনে যাবো না। তবে যেনতেনভাবে আরেকটি নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। কারণ সেই সক্ষমতা তাদের নেই। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না।
কর্নেল অলি ও ড. রেদোয়ান নেতৃত্বাধীন এলডিপি থেকে পদত্যাগ করা ড. আবু জাফর সিদ্দিকী ও তমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী অতিথিদের হাতে ফুল দিয়ে আব্বাসী ও সেলিম নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেন।
এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও আবুল বাশারেরর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, বিশদলীয় জোটের শরিক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুল গণি, চাষী এনামুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
মন্তব্য